আরও শক্তিশালী আরএসএস! এবার 'এক দেশ, এক ভোট'-এর পক্ষে সওয়াল ইয়েদুরাপ্পার

বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে থেকেই আরএসএস-কে আক্রমণ শানায়। মূলত দেশে ডানপন্থী মনোভাবের ধারক বাহক এই সংগঠনকে আক্রমণ শানিয়ে পরোক্ষ ভাবে বিজেপিকেই তোপ দাগে রাজনৈতিক দলগুলি। এই ধারা বজায় রেখেই কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীও আক্রমণ শানিয়েছিলেন আরএসএস-কে। এবার রাহুলের নাম না করেই এবার আরএসএস-এর হয়ে ব্যাট ধরলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।

আরএসএস-এর সংগঠন আরও মজবুত হবে

বিরোধী দলগুলিকে একহাত নিয়ে ইয়েদুরাপ্পা এদিন বলেন, 'তাঁরা সব সময় আরএসএস-আরএসএস করেন। তাঁরা যত আরএসএস-এর নাম নেবে, তত সংগঠন মজবুত হবে। আজ আমি এখানে রয়েছি আরএসএস-এর জন্য। প্রধানমন্ত্রী মোদীও গর্বের সঙ্গে বলেন যে তিনি আরএসএস থেকে এসেছেন।'

বিরোধীদের তুলোধোনা ইয়েদুরাপ্পার

এদিন বিরোধীদের তুলোধোনা করে ইয়েদুরাপ্পা আরও বলেন, 'বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাড়ি নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। যদিও গোটা বিশ্ব তাঁর কোভিড মোকাবিলার ক্ষমতার জন্য মোদীর গুণগান করছে। বিরোধী বিধায়ক হওয়ায় আপনাদের উচিত বিধানসভায় বসে মানুষের স্বার্থ নিয়ে কথা বলা। তা না বলে তাঁরা অবুঝের মতো ইস্যু তুলে আনেন।' বকলমে এদিন বিরোধীদের তোপ দেগে 'এক দেশ, এক ভোট'-কে সমর্থন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা।

'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের বিধানসভার বাইরে কংগ্রেস 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর ভাবনার বিরোধিতা করে এটিকে আরএসএস-এর অ্যাজেন্ডা বলে আখ্যা দেয়। এর আগে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর ইস্যুর উপর বিধানসভায় একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি। এরপরই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়ে আরএসএস-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিরোধীরা।

আরএসএস-কে আক্রমণ কংগ্রেসের

কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, এই ইসেযুতে আলোচনা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত একতরফা। অন্য কোনও দলের মতামত এই ইস্যুতে নেওয়া হয়নি। এদিকে অধ্যক্ষের অভিযোগ, বিরোধীরা শেষ মিনিটে পিছু হটেছে। এর আগে এই আলোচনার ক্ষেত্রে কোন দলের কোন সদস্য অংশগ্রহণ করবেন, তার পূর্ণ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল দলগুলির তরফে। এরপরই কংগ্রেসের তরফে আরএসএস-কে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে আক্রমণ শানানো হয়।

More KARNATAKA News