স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: সমস্ত জল্পনা উড়িয়া বিজেপির সংসারেগু এন্ট্রি নিতে চলেছেন মহাগুরু। বিশেষ সূত্রে খবর, আগামী রবিবার, ৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে দেখা যাবে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ, বর্ষীয়াণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। ওইদিনই তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর৷
বসন্তপঞ্চমীর সকালে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বই মাড আইল্যান্ডের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেদিন তিনি প্রাতরাশ সারেন মিঠুনের পরিবারের সঙ্গেই। ওইদিনই মিঠুনের বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়৷ তবে তিনি উড়িয়ে দিয়েছিলেন সমস্ত জল্পনা। তাঁর যুক্তি কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নয়, এই সাক্ষাৎ ছিল নিতান্তই সৌজন্যের, সৌহার্দ্যের। মিঠুন সেদিন বলেছিলেন, “আমি লখনউ থেকে শুটিং করে ফিরলাম। উনি মুম্বইতেই ছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা করলেন। প্রাতরাশ সারেন। আমাকে সপরিবারে নাগপুরে যেতেও বলেন।”
রাজ্যে বাম শাসনের সময়ে জ্যোতি বসু এবং সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। ২০০৯-এর পরবর্তী সময় থেকে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। ২০১৪-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। কিন্তু এরই মধ্যে সারদা গোষ্ঠীর চ্যানেলে অনুষ্ঠান করা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। যদিও তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে ২০১৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে যান।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দিয়েই অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বার্তা দিয়েছিলেন যে, খুব শিগগিরিই ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকেই গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হতে চলেছেন। মিঠুন ও প্রসেনজিতকে নিয়ে ফেসবুকে দুই সুপারস্টারের সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতার মন্তব্য, “এই দুই বাঙালির স্ট্রাগল, পরিশ্রম, বিচক্ষণতা, দায়িত্ববোধ ও সিদ্ধান্ত অনেক মানুষকে সাহস দেয়! নতুনভাবে ভাবতে শেখায়!” রুদ্রনীল ঘোষের এমন পোস্টকে কিন্তু যথেষ্ট ‘ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একুশের নির্বাচনী ময়দানে বঙ্গ বিজেপির ‘রণ-নীতি’ যে উত্তরোত্তর আরও শক্তিশালী হচ্ছে৷ বিজেপির তারকা-খচিত নির্বাচনী প্রচার দেখলেও বাংলার মানুষ যে অবাক হবেন না, তা হলফ করে বলাই যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.