দলের উচিত ভাবা
এদিন দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী রায় বলেন, যাঁরা সম্মান পাচ্ছেন না, তাঁরাই দল ছাড়ছেন। তিনি বলেন, দলের দায়িত্ব হল এইসব নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভাবা। নেতা ও দল পরস্পরের উচিত সম্মান দেখানো। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ছোট বিষয়ে দলের খেয়াল রাখা উচিত বলেও বলেও মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়।
কর্মীদের উচিত নেত্রীর পাশে থাকা
অন্যদিকে তিনি বলেছেন, খারাপ সময়ে নেতা-কর্মীদের উচিত দলনেত্রীর পাশে থাকা। জেলার কর্মসূচিতে তিনি নেই কেন প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী রায় বলেছেন, তিনি রাজ্যস্তরের নেত্রী, তাই তিনি অন্য জেলায় প্রচার করছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তারাপীঠে প্রার্থনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃতীয়বারের জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই প্রার্থনাতেই এদিন তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেছেন, আসুন সবাই মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে কাজ করি। তারপর সাংবাদিকদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন।
জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন তারাপীঠ উন্নয়ন পর্যদ থেকে
জানুয়ারিতে অমিত শাহের সঙ্গে শতাব্দী রায়ের দিল্লিতে দেখা করা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তিনি সেই সময় তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন। পাশাপাশি দলে থেকে কাজ করতে না পারার বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে শতাব্দী রায়কে রাজ্য সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়। তারপর থেকে শতাব্দী রায়কে সেরকমভাবে বেসুরো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।