শিলিগুড়ির মানুষ বহিরাগত নয়, চেয়েছিল একজন ভূমিপুত্র
ভোটের আগে কর্মীদের ক্ষোভ, বিক্ষোভ সামলাটাই চ্যালঞ্জে এখন তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। কেউ হাসছেন তো আবার কেউ কাঁদছেন। আর এরই মধ্যে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা নান্টু পাল! তাঁর দাবি, ওনার নাম আমরা শুনিনি। তবে শিলিগুড়ির মানুষের দাবি ছিল, একজন ভূমিপুত্রের। কারণ দরকারে পাওয়া যায় না বিধায়ককে। আর সেই কারনেই দলগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে শিলিগুড়ির কাউকেই প্রার্থী করা হবে এখান থেকে। কিন্তু তা না হওয়াতে আমি মর্মাহত!
দল ছাড়ার ইঙ্গিত তৃণমূলের নেতার মুখে
আমার পক্ষে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। কার্যত খেলা শুরু হওয়ার আগেই হতাশ নান্টু পাল, শিলিগুড়ির অন্যতম[ প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতার দাবি, এমন একজনকে এখান থেকে প্রার্থী করা হল যে তিনি কয়েকদিন আগেও মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করেছেন। কার্যত ওমপ্রকাশ মিশ্রকে 'বহিরাগত' তকমা দিয়ে দিলেন তিনি। ফলে শিলিগুড়ির মাটিতে তৃণমূলের লড়াইটা একটু কঠিন হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
তালিকা ঘোষণা হতেই দলে বিদ্রোহের হিড়িক
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দলে বিদ্রোহের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অনেকে দল ছেড়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে, অনেকে দল ছাড়ার আগে বাজিয়ে নিচ্ছেন। তৃণমূলে বিদ্রোহ করে অনেকে আবার ওঁত পেতে থাকা মুকুল রায়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে দেখাও করে ফেলেছেন। এই অবস্থায় তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক না পড়ে যায় ভোটের মুখে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তারকা আর তারুণ্যে ভরা প্রার্থী করেছেন একুশের নির্বাচন লড়তে। সেই কারণে বাদ পড়েছেন অনেক প্রবীণ বিধায়কও। এমনকী মন্ত্রীও রয়েছেন সেই তালিকায়। মোট ৫ মন্ত্রী, ২৭ বিধায়ক এবার বাদ পড়েছেন তৃণমূলের তালিকা থেকে। এরপর অনেক বিধায়কও বিদ্রোহে সামিল হয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে।
মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করার তোড়জোড়
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান না পেয়ে কেউ কাঁদছেন, কেউ নিজের অফিসেই ভাঙচুর চালাচ্ছেন। আবার কেউ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। এখানেই শেষ নয়, প্রতিবাদ জানিয়ে দলও ছেড়েছেন কেউ কেউ। আবার দল ছাড়ার আগে বিপক্ষকে বাজিয়ে নিতে কেউ আবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছেন