মিলল অনুমতি, এবার বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা ভ্যাকসিনের টিকাকরণ কেন্দ্র

বেসরকারি হাসপাতালগুলি যদি সব নিয়ম মেনে চলে তবে সেখানে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন টিকাকরণ কেন্দ্র করার অনুমতি দিয়েছে সরকার এবং মঙ্গলবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তিনটে বিভাগের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করার‌ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে দেশে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভিড়ের অভিযোগ আসছিল। তাই কেন্দ্র তড়িঘড়ি করে ভিড় কমানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণ কেন্দ্র করার অনুমতি দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, আটকে রাখা বা প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষণ করে রাখা চলবে না। দ্বিতীয় ধাপের এই টিকাকরণে য়াট বছরের ওপরে ও ৪৫ বছর এবং একাধিক রোগ রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। রাজ্যের সঙ্গে এক পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই তাই কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে (‌সিভিসিএস)‌ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হোক। কেন্দ্র বলেছে, '‌কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন রয়েছে এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন ডোজ আমরা সরবরাহ করব।’‌

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এও আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন সেশনের সময়সীমা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন ডোজ বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আয়ুষ্মান ভারত–প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য স্কিম এবং রাজ্য স্বাস্থ্য বীমার আওতায় এনে সর্বোচ্চ ক্ষমতায়ন করার কথাও রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেন নিয়মিতভাবে এই সবেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে চলে যাতে টিকাকরণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে।

ইতিমধ্যেই কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করছেন। টিকাকরণ কর্মসূচীর মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কোউইন। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের ২টি অগ্রাধিকার গ্রুপের পাশাপাশি যাঁরা করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাঁদের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কর্মসূচীও চলছে।

More CORONAVIRUS News