রাজ্যে ফের বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হবে
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে জানিয়েছেন, যে সমস্ত বিধায়ক-নেতা-মন্ত্রীরা বাদ পড়লেন তাঁদের চিন্তা করার কিছু নেই। তাঁদের বিধান পরিষদে ঠাঁই দেওয়া হবে। একুশের নির্বাচনে জিতলে রাজ্যে ফের বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষমতায় ফিরলেই বিধান পরিষদ তৈরি করবে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্ষমতায় ফিরলেই বিধান পরিষদ তৈরি করব আমরা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নীতিগত প্রশ্নেই। তিনি সাফ করে দিয়েছেন, যে সমস্ত বিধায়ক-মন্ত্রীরা বাদ পড়লেন প্রার্থী তালিকায়, তাঁদেরকে গুরুত্ব সহকারে স্থান দেওয়া হবে বিধান পরিষদে। অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু, রবীন্দ্রাথ ভট্টাচার্য, সমীর চক্রবর্তী, জটু লাহিড়ী, মণীশ গুপ্তা, পূর্ণেন্দু বসু, সোনালি গুহ, অমল আচার্য, ব্রজমোহন মজুমদারদের নিয়ে বিধান পরিষদ তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
২০২১-এ ফের তিনি বিধান পরিষদের তত্ত্ব সামনে
বাংলায় ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু ১৯৬৯ সালে আইন পাস করে বিধান পরিষদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর জানিয়েছিলেন বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু ১০ বছরের শাসনে তা ফেরাতে পারেননি মমতা। ২০২১-এ ফের তিনি বিধান পরিষদের তত্ত্ব সামনে আনলেন।
বিধান পরিষদ কী, এবার কি তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে?
উল্লেখ্য বিধান পরিষদ হল রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ। রাজ্যে আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষ বিশিষ্ট হতে পারে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা হলে উচ্চকক্ষের নাম হয় বিধান পরিষদ। আর নিম্নকক্ষ হয় বিধানসভা। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে বিধান পরিষদের অস্তিত্ব না থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গে তা হয় কি না দেখার।