পাহাড়ের তিন আসন ছেড়ে রাখা হল স্রেফ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০১৯-এ পাহাড়ে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল বিনয় তামাংয়ের গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট করে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ের তিন আসন ছেড়ে রাখা হল স্রেফ। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রার্থী দেবে মানে বিমল গুরুংয়ের মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হবে। কেননা বিনয় তামাংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আর তৃণমূল তো একসঙ্গে পথ চলছিল।
সমতলের ১৪ আসনে তৃণমূলকেই সমর্থন মোর্চার
এবার পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থী ঠিক করবেন গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চার বিমল গুরুং। একইসঙ্গে সমতলের ১৪ আসনে মোর্চা যে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে তা ফলাও করে জানিয়ে দিয়েছেন বিমল গুরুং। এই সমঝোতা এবার সামনে চলে এল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই কথা জানালেন।
গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনের পর কার্যত দুইভাগে বিভক্ত মোর্চা
এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন বার্তার পর বিনয় তামাং কী অবস্থান নেন। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোট-ধর্ম বজায় রাখেন, নাকি মমতার অবস্থান তাঁকে বিজেপিমুখী করে দেয়। গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনের পর কার্যত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ের আমজনতা এখন কার দিকে থাকে সেটাই দেখার।
গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনে বিনয় তামাংয়ের অবস্থান প্রশ্নে
গুরুং পাহাড়ে ফিরে আসার পর বিনয় তামাং-অনীত থাপারা খানিক চাপে পড়ে গিয়েছে। আবার পাহাড়ে ফিরেই ভোলবদলে বিমল গুরুং সমর্থন করে বসেন মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সমীকরণ বদলে যায় পাহাড়ের। গুরুংয়ের এই পুনরুত্থান মেনে নিতে পারেননি বিনয় তামাং। বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বে মোর্চা ২০১৯-এর লোকসভায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে। কিন্তু বাইরে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করে ফায়দা লুটে নেন গুরুং। এখন উভয়ের অবস্থান কী হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।