রায়পুর: সেহওয়াগ ঝড় দিয়ে ২০২১ প্রত্যাবর্তন ঘটল রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ-সচিন তেন্ডুলকর যুগলবন্দিতে বাংলাদেশ লেজেন্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ম্যাচে জয় পেল ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। প্রথমে ব্যাট করে এদিন ১০৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ লেজেন্ডস। জবাবে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৯ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে দেয় ইন্ডিয়া লেজেন্ডস।

৩৫ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। অন্যদিকে ২৬ বলে ৩৩ রান করে নট-আউট থাকেন সচিন তেন্ডুলকর। রায়পুরে এদিন প্রথমে ব্যাটিং’য়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ লেজেন্ডস। শুরুটা ভাল হলেও ক্রমেই বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের উপর জাঁকিয়ে বসেন ভারতীয় বোলাররা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে বাংলাদেশের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেন। ওপেনার নাজিমুদ্দিন সর্বাধিক ৩৩ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া আর বিনয় কুমার, যুবরাজ সিং এবং প্রজ্ঞান ওঝা দু’টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। মনপ্রীত গোনি এবং সবধরনের ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া আরেক প্রাক্তনী ইউসুফ পাঠান একটি করে উইকেট নেন। দু’বল বাকি থাকতেই অর্থাৎ, ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রান করে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ লেজেন্ডস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাঁ-হাতি স্পিনার মহম্মদ রফিককে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্বকীয় মেজাজে ইনিংসের সূচনা করেন নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। প্রাক্তন অভিজ্ঞ স্পিনারের প্রথম ওভারে ১৯ রান সংগ্রহ করেন বীরু। তুলনায় মাস্টার-ব্লাস্টার অনেক বেশি শান্ত। সেহওয়াগ একদিকে যখন বিধ্বংসী মেজাজে তখন অন্যদিকে অনেক বেশি বিচক্ষণ ব্যাটিং করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশোটি শতরানের মালিক। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

অন্যদিকে ৩৫ বলে দু’শোরও বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ৮০ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কায়। ১০.১ ওভারে সচিন-সেহওয়াগের অবিভক্ত ওপেনিং পার্টনারশিপে ১১০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। উল্লেখ্য, গত বছর চারটি ম্যাচের পর করোনা উদ্বেগে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ। শুক্রবারের ম্যাচ দিয়েই পুনরায় শুরু হল স্থগিত হয়ে যাওয়া টুর্নামেন্ট।

এই জয়ের পর দু’ম্যাচে জয় পেয়ে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। এছাড়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলি হল ইংল্যান্ড লেজেন্ডস, শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডস এবং দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডস।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।