নয়াদিল্লি : আপনি বাড়িতে গুডনাইট, অলআউট, নানা ধরনের ধুপ, স্প্রে, ইলেকট্রিক ব্যাত সবকিছু দিয়ে মশাকে আটকাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতো কিছু করেও মশা প্রথমে গন্ধ , স্প্রে, ধোঁয়া গিলে একটু দমে যাচ্ছে। ঘণ্টা খানেক নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। ততক্ষন আপনার স্বস্তি। আপনি ভাবছেন আপদ বিদায় হয়েছে। না, আদতে দেখলেন কিছুই হয়নি। ফিরে আসছে মশা। হয় কামড়াচ্ছে, না হয় কানের সামনে বিন বাজাচ্ছে। এত কিছু করেও মশাকে আটকানো যাচ্ছে না। নর্দমায় কীটনাশক থেকে শুরু করে ধারে ব্লিচিং দিয়েও কাজ হচ্ছে না। হবে টা কি করে ? মশার জিনের বংশ তো আরও বিস্তার হয়েছে। ২৯টি এমন সেল মিউট্যান্ট হয়েছে। যার ফলেই মশার আর এসবে কাজ দিচ্ছে না। কিন্তু এই ২৯টি জিন বিন্যাসকেই এবার ধরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। কাজ চলছে। এই জিন বিন্যাস ভাঙতে দমাতে পারলেই আটকানো যাবে ম্যালেরিয়া।

কারণ ভারত, আফ্রিকাসহ বহু দেশে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। সৌজন্যে মশার ওই ২৯টি জিন বিন্যাস। সেটাকেই খুঁজে অস্ত্র বার করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের প্রথম প্রশ্ন ছিল, মশার শরীরে এমন কী জিন রয়েছে যার জন্য এত কিছু করার পরেও মশার দল সেই শক্তিশালীই রয়ে যাচ্ছে? এর দিশা খুঁজে পেতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অ্যানোফিলিস মশার জিনের বিন্যাস বার করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। তালিকায় ছিলেন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে এতে কাজ করছিল ক্যালফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বেঙ্গালুরু ইন্সিটিটিউট অফ বায়োইনফরমেটিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড বায়োটেকনোলজি , টাটা ইন্সিটিটিউট ফর জেনেটিক্স অ্যান্ড সয়াসিইটির তাবড় গবেষকরা। শেষ পর্যন্ত সাফল্য মিলেছে।

তাঁরা অ্যানোফিলিস মশার প্রায় ৩০০০ জিনের বিন্যাস বার করে ফেলেছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই ৩০০০ হাজার জিনের মধ্যে ২৯টির সেল মিউট্যান্ট হয়ে গিয়েছে। সোজা কথায় গঠন বিন্যাস বদলে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবী যে সুপার জিন মশার মধ্যে তৈরি হয়েছে তা সবরকম কীটনাশকেই আটকে দিচ্ছে। এর জন্যই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমানো যাচ্ছে না।

তাহলে সাফল্যটা কোথায়? কীভাবে বিজ্ঞানীরা ওই সংক্রামক মশার জিনগুলিকে মারবেন? গবেষকরা জানিয়েছেন, তৈরি হওয়া সুপার জিনগুলিই তাঁদের অস্ত্র। এগুলিও অ্যানোফিলিস মশাকে সহজে মারতে পারে। ক্রিস্পার জিন এডিটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এই জিনগুলিকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। আসলে তাঁরা জিনের ভেঙে গিয়ে নতুন করে মিউটেশন তৈরি করা অর্থাৎ সেল মিউট্যান্ট এতাকেই বন্ধ করে দিতে চাইছেন। এটা বন্ধ করতে পারলেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ আটকানো যাবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।