সুনামি সতর্কতা
সতর্কতা সূচক সাইরেন বাজানো হয় নৌমিয়াতে। কেননা সেখানকার প্রশাসন সুনামির আশঙ্কায় জায়গা ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফ্রহান্সের অধীনস্ত এই দ্বীপে দশ মিটার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘোষণা বলা হয়েছে, কোনও মানুষ যেন বিচে না থাকেন। এছাড়াও শিশুদের স্কুলে পাঠাতেও বারণ করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরেই নিউজিল্যান্ডে সুনামি সতর্কতা
নিউজিল্যান্ডে প্রথমে রিখটার স্কেলে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এরপর ৭.৪ এবং ৭.৩ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প হয়। এরপরেই নার্থ আইল্যান্ড উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। ন্যাশনাল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তরফে বাসিন্দাদের ঘর ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। খুব তাড়াতাড়ি উঁচু জায়গায় চলে যেতেও বলা হয় বাসিন্দাদের।
নিউজিল্যান্ডে সব থেকে বড় ভূমিকম্প
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সব থেকে বড় ভূমিকম্পটি হয় স্থানীয় সময় সকাল ৮.২৮-এ (গ্রিনিচের সময় ১৯২৮) নিউজিল্যান্ড উপকূল থেকে ১০০০ কিমি দূরে। এরপরেই দুটি ভূমিকম্প হয়, সেদুটিও ছিল বড় মাপের। প্রসঙ্গত যে জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্যুৎপাত বলয় রয়েছে। আর সেখানেই পৃথিবার টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষস্থল।
ছোট ঢেউয়ের শুরু
ভূমিকম্পের পরেই ছোট ছোট ঢেউয়ের শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে টোঙ্গার মতো জায়গা থেকে। এছাড়াও জাপান, রাশিয়া, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপকূলেও ছোট ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশ সম্প্রতি ক্রাইস্টচার্চ ভূমিকম্পের দশবছর পূর্তে পালন করেছে। যে ভূমিকম্প ছিল ৬.৩ মাত্রার এবং ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই সময়।