স্টাফ রিপোর্টার, তারাপীঠ: প্রার্থী ঘোষণার আগে তারাপীঠে পুজো দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেও এদিন শতাব্দীর গলায় শোনা গেল ‘দলবিরোধী’ সুর৷ তাঁর বক্তব্য, নেতা ও দল উভয়েরই পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার মুখে শতাব্দী রায়েক এই মন্তব্যে ফের জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

শুক্রবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘দল থেকে যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা সম্মান পাননি। নেতা ও দল উভয়েরই পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। ছোট ছোট বিষয়ে দলের খেয়ার রাখা উচিত। দলের দায়িত্ব সমস্যার সমাধান করা।’ তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার মুখে শতাব্দীর এই মন্তব্যে নতুন করে চর্চা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে।

উল্লেখ্য, দলের প্রতি কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে সাংসদের ফ্যান পেজ থেকে একটি ফেসবুক পোস্ট করা হয়। যে পোস্ট থেকেই যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত ঘটে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে তা বাতিল করেন শতাব্দী। এমনকী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা জোরালো হয়। এরপরই শতাব্দীর ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামে তৃণমূল। এরপর সাংসদের বাড়িতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের মধ্যস্থতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শতাব্দী। সেই বৈঠকেই বরফ গলে। বৈঠক শেষেই সংবাদমাধ্যমে শতাব্দী জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন এবং দিল্লি যাচ্ছেন না। এরপরই ফের ফেসবুক পোস্টে নিজের দলের প্রতিপ্রশস্তি শোনা যায় শতাব্দীর গলায়। পরে একটি জনসভায় শতাব্দী বলেন, “সংসারে থাকতে গেলে মা, বাবা, স্বামীর বিরুদ্ধে রাগ হতেই পারে। তখন হয়তো রাগ করে পাল্টা কথাও ওঠে। তবে সেই মা , বাবা, বা স্বামীকে যদি পাশের বাড়ির কেউ, বা বাইরের কেউ টার্গেট করে কিছু বলেন, ‘তাহলে কি আপনি জবাব দেবেন না?’ তাঁর বক্তব্য, ভালোবাসার মানুষকে বাইরে থেকে কেউ কিছু বললে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

সেই জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন৷ তিনি বলতে উঠেই শতাব্দী সম্পর্কে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান। বলেন, শতাব্দী রাজনৈতিক কথা বলছিল। ওঁর বক্তৃতা শুনে আমি মোহিত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।