প্রেস্টিজিয়াস ফাইট মমতার কাছে!
ভূমিপুত্র শুভেন্দু বনাম বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই। কেউ কাউকে একচুল জায়গা ছাড়তে নারাজ। অনেকে বলছেন, দুজনের কাছেই প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। ইতিমধ্যে নেত্রীকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ৫০ হাজার ভোটে নাকি হারাবেন। ছাড়ার পাত্রী নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় বারবার উঠে এসেছে লড়াইয়ের কথা। পড়ে থেকে, মার খেয়ে কীভাবে বাম আমলে রাজনীতি করেছেন তা বারবার তুলে ধরেছেন নেত্রী তাঁর কথায়। ফলে লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট
মমতাকে জেতাতে তোড়জোড় শুরু
দলনেত্রী লড়বেন। তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামে পাঠানো হচ্ছে কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে। ইতিধ্যে নিজের নাম নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে ঘোষণা করে দিয়েছেন নেত্রী। জানা যাচ্ছে, আগামিকাল শনিবার নন্দীগ্রাম পৌঁছে যাচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ। আপাতত কয়েকদিন সেখানেই থাকবেন মমতা ঘনিষ্ঠ এই কাউন্সিলার। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর খাসতালুক থেকে জেতাতে রীতিমত কোমড় বেঁধে এমে পড়েছে তৃণমূল এন্ড কোং!
দিদিকে জেতানোর ভার সুশান্তের কাধেই!
গুরু দায়িত্ব তাঁর কাছে। নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করার ইচ্ছাপ্রকাশের পরেই সেখানে ছুটে যান দুই সুব্রত! দফায় দফায় সেখানে যান সুব্রত বক্সি, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে এলাকার সার্ভের কাজ সেরে এসেছেন তাঁরা। এরপরেই গুরু দায়িত্ব দিয়ে সেখানে পাঠানো হচ্ছে ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মমতা ঘনিষ্ঠ সুশান্ত । এলাকায় দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত সুশান্তকে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে দল। যাতায়াত থেকে শুরু করে ভোটের দায়িত্বে থাকা বাকি কর্মীদের সঙ্গে যোগসূত্রের কাজ করবেন সুশান্ত।
নন্দীগ্রামে নেওয়া হয়েছে দুটি অফিস, খোজা হচ্ছে বাড়ি
খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের কয়েকদিন নন্দীগ্রামেই রাত কাটাবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্যে বেশ কয়েকটি বাড়িও দেখা হয়েছে। কার্যত সেখানে পড়ে থেকে লড়াই করতে চান নেত্রী। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে নেত্রীর দুটি নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়েছে। সেখানেই বসেই ভোট পরিচালনা নেত্রী মমতা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।