কলকাতা : কথা ছিলই , সব বিধায়ক এবার ২০২১-এর বিধানসভায় প্রার্থী হতে পারবেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) শুক্রবার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা (Candidate List)ঘোষণা করার সময় সেই কথাই ঘোষণা করলেন। এর ফলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৭ জন বিধায়ক প্রার্থী হতে পারলেন না। এর মধ্যে ৫জন মন্ত্রী রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার প্রার্থী ঘোষণার সময় বললেন, “সিঙ্গুরে ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের পরিবর্তে প্রার্থী হচ্ছেন বেচারাম মান্না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাঁড়াবেন দমদম উত্তরে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না অমিত মিত্র এবং পূর্ণেন্দু বসু। ৮০-র ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের এ বার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।”

বাদ পড়া মন্ত্রীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। খড়দহ কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ককে এ বার বয়সজনিত কারণেই বাদ দেওয়া হয়েছে দলের অন্দরের খবর। অমিতের কেন্দ্র খড়দহে এ বার স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান কাজল সিংহকে প্রার্থী করা হয়েছে। বাদ পড়েছেন কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও (Purnendu Basu)। পূর্ণেন্দুর কেন্দ্র রাজারহাট-গোপালপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ২৪ ঘণ্টা আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। যিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী-ও বটে। খাদ্যপ্রক্রিয়া করণ এবং উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকেও এ বার ভাঙড়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। একদা বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য রেজ্জাককেও বয়সের কারণেই ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটের আরেক দাবিদার, প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকেও (Arabul Islam) হতাশ হতে হয়েছে। ভাঙড়ে এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে আরেক প্রাক্তন সিপিএম নেতা, পেশায় চিকিৎসক মহম্মদ রেজাউল করিমকে।বাদ পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন (তফসিলি) কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। সেখানে টিকিট পেয়েছেন কল্পনা কিস্কু। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ করও তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা থেকে ছাঁটাই হয়েছেন। তিনি ছিলেন নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক। সেখানে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহের ছেলে শুভঙ্করকে টিকিট দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরোধিতার কারণেরই রত্নাকে ভোটে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

তবে প্রার্থী তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার জন্য কেঁদে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের সঙ্গী সোনালী গুহ। তিনি বলেছেন, “মমতা দর সুবুদ্ধি হোক।” ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম প্রার্থী হতে না পেরে ভাঙ্গরে তৃণমূল পার্টি অফিসার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বলেছেন, “এই দলটিকে আমি বুকে আগলে রেখে গড়ে তুলেছি।” আমডাঙার দুবারের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান প্রার্থী হতে না পেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন।”

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁদের প্রার্থী করলেন না তাঁদের বঞ্চিতও করলেন না, এমনই বার্তা তিনি দিয়েছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “যাঁদের আসন দেওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের বিধান পরিষদে স্থান দেওয়া হবে। বিধান পরিষদে অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসুকে আনা হবে।”
প্রশ্ন হচ্ছে সোনালী গুহ ( Sonali Guha), আরাবুল ইসলাম, দীপেন্দু বিশ্বাসের কী হবে? দীপেন্দু বিশ্বাস অভিমানে ও অসম্মানে বলেছেন, “আমি বাড়িতে বসে জানলাম আমি প্রার্থী তালিকায় নেই। আমি করোনার সময় প্রচুর পরিশ্রম করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার পরিবারের মানুষরা এখন আমায় বলছে এটা কী হলো?”
তৃণমূলের অন্দরের খবর প্রশান্ত কিশোর তাঁর টিম পিকে-র মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে, কোন বিধায়ক কেমন কাজ করেছেন সেটা পর্যালোচনা করে এবারের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার জন্য একটা খসড়া তালিকা তৃণমূল দলের কাছে দেয়। সেই তালিকায় কাদের প্রার্থী করা হবে আর কাদের হৰে না সেটাও উল্লেখ করা ছিল। তবে তারকাদের বাছাই করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মূলত বিধায়কদের জনভিত্তি, কত কাজ করেছেন, দলের মধ্যে কোন বিধায়কের জন্য অন্তর্দলীয় কোন্দল লেগেছে, কোন্দল চলছে সেটা নজর করা হয়েছে। তাছাড়া যাদের বয়স ৮০-র বেশি তাদের এবার প্রার্থী করা হয়নি। তবে ২৭জন বিধায়ক ও ৫জন মন্ত্রীর নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ
পড়লেন তাদের রোষে তৃণমূলের নতুন সমস্যায় পড়তে হবে না তো?

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।