পুরানোতে নয়! প্রার্থী বদলে বিজেপি সাংসদের স্ত্রীয়ের উপরেই ভরসা রাখলেন মমতা

চমক থাকবে। এমনটাই আশা করা হয়েছিল। তালিকা প্রকাশ হতেই স্পষ্ট সেই চমক। একের পর এক নতুন মুখ। একুশে লড়াইয়ের ময়দানে ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে এগিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকাতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি নতুন মুখ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন সক্রিয়, তরুণ নেতানেত্রীরা। এছাড়া তালিকায় রয়েছে একাধিক প্রাক্তন আমলার নাম। মহিলা প্রার্থী ৫০ জন। সংখ্যালঘু প্রার্থী ৪২ জন। তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রার্থী ৯৬ জন।

প্রার্থী হলেন 'ফাইটার' সজাতা!

একের পর এক মামলা সৌমিত্রের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপুরে ঢুকতে বাধা সৌমিত্রকে। বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন স্বামী। কিন্তু খোদ কেন্দ্রেই ঢুকতে পারছেন না প্রার্থী। এগিয়ে আসলেন স্ত্রী। স্বামীর হয়ে কার্যত একা লড়াই করলেন তিনি। শাসকদল তৃণমূলকে কার্যত দিলেন ব্যাপক ফাইট। জিতেই আনলেন স্বামী সৌমিত্রকে। কিন্তু সেই সৌমিত্রকে ছেঁড়ে স্ত্রী এখন তৃণমূলে। দিদি মমতা করলেন সেই 'ফাইটার' সুজাতাকেই প্রার্থী। তালিকাতে তাঁর নাম শুনে রীতিমত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী। তবে জেতার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। মানুষ তাঁর পাশেই থাকবেন বলে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুজাতা।

আরামবাগে প্রার্থী বদল!

কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুজাতা খাঁ মন্ডলকে প্রার্থী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরাকে প্রার্থী করা না নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, এবার প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। যেমন ৮০ বছরের উরদ্ধে কাউকে এবার দল প্রার্থী করছে না। সেই তালিকাতেই কি তিনি পড়ে গিয়েছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।

দুর্নীতি-গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত আরামবাগ

আরামবাগ বিধানসভা এলাকা জুড়ে ব্যাপক কাজ হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে হিমসিম খাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের প্রশ্নে যে তাঁরা জেরবার হচ্ছেন, সে কথা মেনেও নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। ফলে, ভোট কোথায় পড়বে, তা নিয়ে তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আরামবাগের সংগঠন যাঁদের হাতে সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের মুখেও একই কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, সর্বত্র গলা ফাটিয়ে বলছি, তৃণমূল ভাল কাজ করেছে। আকৃষ্ট করার মতো কাজগুলো বেছে বেছে বলছি। কিন্তু বারবার দলের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসছে বলে দাবি শাসকদলের নেতা-কর্মীদের। আর এই কারনেই কি সরিয়ে দেওয়া হল দুবারের বিধায়ককে ? উঠছে প্রশ্ন।

More WEST BENGAL ASSEMBLY ELECTION 2021 News