কলকাতা : আজ, শুক্রবার বিকেলে সংযুক্ত মোর্চার (Sonjukto Morcha) প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। বিকেল চারটে পনেরো মিনিটে সিপিএম (CPM) পার্টি অফিস বিমান বসু (Biman Basu), সূর্য্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেসের (Congress) প্রদীপ ভট্টাচার্য( Pradip Bhattacharya), বামফ্রন্ট (Left Front) শরিক নেতারা ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা এই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে ৮দফা বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ৬০জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। তবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ঘোষণা করা হবে না। জানা গেছে, এআইসিসি-র তরফে প্রথা মেনে রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা হবে। তাই আজ বাম, আইএসএফ প্রার্থী ঘোষণা করলেও কংগ্রেস আজ প্রার্থী ঘোষণা করছে না।
এদিকে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ জোটের জটিলতা এখন আর নেই বলেই সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের দাবি। কংগ্রেস ৯২টি আসনে প্রার্থী দেবে। আইএসএফ ৩৭ থেকে ৩৮টি আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি আসনে প্রার্থী ভেবে বামফ্রন্ট। তবে ৯২টি আসনের চাইতেও কিছু বেশি আসন বামফ্রন্টের কাছে দাবি করেছে কংগ্রেস। এই নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে}। তবে সংযুকলত মোর্চার জোটের জোট কেটেছে।
সিপিএম প্রার্থী তালিকায় সম্ভাব্য যারা আছেন তারা হলেন জেএনইউ-র ছাত্রী ঐশী ঘোষ, যুব কর্মী সায়ানদীপ মিত্র, সৃজন ভট্টাচার্যর মতো তরুণ-তরুণীরা। আবার এই তালিকায় থাকতে চলেছে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্যর নাম ।
২০১৯-এর জোটে বাম ও কংগ্রেস জোট হলেও পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে কয়েকজন প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চা ঠিক করেছে এবার জোটের কেউ করোও বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবেন না।
তবে এখনও কংগ্রেসের কিছু আসন বামেদের কাছে দাবি আছে। এই আসন না পেলে আইএসএফ-কে কংগ্রেস প্রার্থী ছাড়তে পারবে না। তবে আইএসএফ এখন ঠিক করে নিয়েছে, বাংলা থেকে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ও বিজেপিকে রুখতে এই জোটে কোনও রোকন সমস্যা তাদের দ্বারা হবে না। তাদের লক্ষ্য একটাই বাংলার মানুষকে স্বস্তি দেওয়া ।
এই সংযুক্ত মোর্চা আগামী ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কতটা দাগ কাটতে পারে সেটাই এখন দেখার। কেননা ইতিমধ্যেই আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করার জন্য বিজেপি, তৃণমূল সব দলই সিপিএম, কংগ্রেসকে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে সমালোচনা করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.