ওয়েলিংটন: ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়কের ঝোড়ো ব্যাটিং এবং বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ওয়েলিংটনে চতুর্থ টি২০ ম্যাচে ৫০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ০-২ পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ২-২ করল অজিরা। শুক্রবার চতুর্থ টি২০ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। সৌজন্যে অ্যারন ফিঞ্চের ৫৫ বলে ঝোড়ো ৭৯ রানের ইনিংস। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় কিউয়িরা।
টস জিতে ওয়েলিংটনে এদিন প্রথমে ব্যাটিং’য়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ম্যাথু ওয়েড। এরপর ১৩, ১৮ এবং ১৯ রানে একে একে ফেরেন জোশুয়া ফিলিপ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মার্কাস স্টোইনিস। অস্ট্রেলিয়ার সেই অর্থে কোনও লম্বা পার্টনারশিপ তৈরি হয়নি। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগার শূন্য এবং মিচেল মার্শ ৬ রানে ফিরলেও ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর ঝাই রিচার্ডসনকে নিয়ে ঝড় তোলেন ফিঞ্চ। ৫টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৫৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ১৫৬ রানে পৌঁছে দেন ফিঞ্চ। শেষ ২১ বলে ৪২ রান তোলেন ফিঞ্চ-রিচার্ডসন জুটি। যদিও পুরোটাই সম্ভব হয় ফিঞ্চের কারণে। ৪ রানে অপরাজিত থেকে যান ঝাই রিচার্ডসন।
১৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ৪.২ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭ রানে ফিরে যান মার্টিন গাপতিল। এরপর কার্যত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে কিউয়িদের ব্যাটিং লাইন-আপ। টিম সেইফার্ট (১৯), ডেভন কনওয়ে (১৭) এবং কাইল জেমিসন (৩০) ছাড়া আর কেউই দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। জেমিসনের ১৮ বলে ৩০ রানের ইনিংসে কোনক্রমে ১০০ রানের গন্ডি পেরোয় নিউজিল্যান্ড।
শেষ অবধি ১৮.৫ ওভারে ১০৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় কিউয়িরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বাধিক ৩টি উইকেট নেন কেন রিচার্ডসন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ ম্যাচ ৫০ রানে জেতায় ৭ মার্চ সিরিজের অন্তিম ম্যাচ নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল। উল্লেখ্য, তৃতীয় ম্যাচেও ফিঞ্চ-ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো ব্যাটে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.