দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা!
চূড়ান্ত গোপনীয়তার মধ্যে তৈরি করা হয়েছে প্রার্থী তালিকা। ২৯৪টি আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে আলোচনা-বিশ্লেষণ করেছেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর টিম। এরপরেই তৈরি করা হয়েছে প্রার্থী তালিকা। তবে কে কোথায় প্রার্থী হচ্ছেন, আদৌও হচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে কোনও ধারনাই নেই। এই অবস্থায় শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা প্রকাশ্যে আসার পরে ক্ষোভ আসতে পারে। সেদিকে তাকিয়েই দলের কর্মীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। কারও যদি তাতে আপত্তি থাকে, তিনি নিজের মতো পথ দেখে নিতে পারেন।
তৃণমূল ভবনে ছিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
তৃণমূল ভবনে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন বিধায়করাও। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো ছিলেনই। এমনকি ছিলেন দলের ভোট কৌশলি প্রশান্ত কিশোরও। দীর্ঘক্ষণ ধরে বৈঠক হয়। সেখানেই কাউন্সিলারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রার্থী নিয়ে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। এছাড়াও ভোটে সবার এলাকায় সবাই যাতে ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করেন সেই বিষয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এখন কলকাতা পুরসভায় দলের ১২১ জন কাউন্সিলর। ১২৪ জনের মধ্যে তিনজন প্রয়াত। ১২১ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশই হাজির ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
লিড দিলেই মিলবে ১ কোটি
কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ড ভাগ হয়েছে ১৬টি বিধানসভায়। এখানে দল যাকে প্রার্থী করবে তাকেই মেনে নিতে হবে। কোনও কিন্তু কিন্তু চলবে না, বুঝিয়ে দিয়েছেন শীর্ষনেতারা। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম কাউন্সিলরদের বার্তা দিয়েছেন, গত লোকসভা ভোটে যে ৫৩টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল, প্রতিটি ওয়ার্ডে এবার যদি লিড দিতে পারে তা হলে ওয়ার্ডের উন্নয়নে ১ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে পুরসভার তরফে। ফলে সমস্ত কাউন্সিলারদের একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাসবিহারী, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় তা দেখা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। বিধানসভা ভোটে সকলে মিলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলেই এদিন দলীয় কাউন্সিলরদের বার্তা দেন পার্থ, অভিষেকরা।
তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হবে কলকাতাকে
আগামী রবিবার ৭ মার্চ ব্রিগেডে বিজেপির সমাবেশে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই একই দিনে উত্তরে দলের শক্তি বাড়াবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার শিলিগুড়িতে রোড শো করবেন তিনি। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলানোর পর কলকাতায় ফিরবেন তৃণমূল নেত্রী। এই আবহে কলকাতাকে তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন নেত্রী। উল্লেখ্য, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ভবানীপুর থেকে যাদবপুর পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্যানারে এই কর্মসূচি হবে।