সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : তিনি আগে ছিলেন ‘খেলা হবে’র দলে। এখন তিনি বলছেন ‘খেলার ঠ্যালা, বুঝবে হলে বেলা’। শুধু বলছেনই না, খেলার ঠ্যালা বোঝাতে নেমে পড়েছেন ময়দানে। না , কোনও হিংসাত্মক ইঙ্গিতের খেলা নয়। রঙ তুলি নিয়ে মোহিতলাল নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের প্রচারে। তাঁর প্রাক্তন দল তো তৃণমূল। বলছেন সেই দলকেই খেলার ঠ্যালা বোঝাতে চাইছেন তিনি।
বঙ্গে ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী ঘোষণা না করলেও দলীয় প্রতীক নিয়েই গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। যেহেতু এবার নির্বাচনে প্রচারের সময় বেশ খানিকটা কম তাই রাজনৈতিক দলগুলি অনেকটাই ডিজিটাল প্রচার ও পেশাদার শিল্পী দিয়ে ভোটের প্রচার করতে চাইছে। কিন্তু, গ্রাম বাংলার মানুষের পালস বুঝতে দেওয়াল লিখন যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা একবাক্যে মেনে নেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এ ক্ষেত্রে নিজেদের কর্মীদের লেখা দেওয়াল লিখনকেই আপাতত ভরসা করছে বিজেপি। তেমনই মোহিতলাল ঘাঁটি। তিনি ছিলেন ঘাস ফুল। হয়েছেন পদ্মফুল।
দল বদল এবার সদলবলে তিনি দেওয়াল লিখনে নেমে পড়েছেন। মোহিতলাল ঘাঁটি পাঁচলায় কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেই মোহিত ঘাঁটি এখন বিজেপি শিবিরে। ফলে এই এলাকায় বেশ চাপে তৃণমূল শিবির। অন্তত এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে মোহিতলাল ঘাঁটি জানান,’ প্রার্থী নয় প্রতীকটাই আসল। এবার খেলা হবে, বলছে তৃণমূল। আমি বলছি,”খেলার ঠ্যালা, বুঝবে হলে বেলা।” উল্লেখ্য, এই স্লোগান ইতিমধ্যেই পাঁচলার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবী, পেশাদার আর্টিস্ট দিয়ে দেওয়াল লেখালে তার ইমপ্যাক্ট সাধারন ভোটারের কাছে পড়ে না। কিন্তু, একজন কর্মী যদি দেওয়াল লেখে তা হলে সাধারন ভোটাররা অনেকটাই প্রভাবিত হন। আর এই সুত্র মেনেই এবার গ্রামীণ হাওড়ায় পাঁচলায় সরাসরি দেওয়াল লিখনে সামিল হলেন পাঁচলা বিধানসভা এলাকার একদা ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা ও হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মোহিতলাল ঘাঁটি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.