শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : সংযুক্ত মোর্চার (United Front) সব জট কাটলো। বাম (Left) ও কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে আসন রফা শেষ। আইএসএফ (ISF)-এর সঙ্গেও কংগ্রেসের সব জট কেটে গেছে। তাই এবার নির্বাচনে ভালো ফল করার বিষয়ে প্রতয়ী বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ । তাদের দাবি, এবার প্রথম শক্তি হয়ে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আস্তে চলেছে সংযুক্ত মোর্চা।
ঠিক হয়েছে ৯২টি বিধানসভা কেন্দ্রে (Assembly Constituency) প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। আইএসএফ ৩৭ থেকে ৩৮টি আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি আসনে প্রার্থী দেবে বামফ্রন্ট। আজ বিকেলে বামফ্রন্ট শরিকদের সঙ্গে বিমান বসু আসন বন্টন নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করবেন। আশা করা যাচ্ছে তার পরই বামফ্রন্টের আসন বন্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)সঙ্গে বিমান বসুর (Biman Basu) দীর্ঘ আলোচনার পর আইএসএফ নিয়ে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব কাটে বলে সিপিএম সূত্রে জানা গেছে। এর পর রাত প্রায় ১০ পর্যন্ত আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)-র সঙ্গে বিমান বসুর বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত একটা সমাধান সূত্র বার হয়েছে। ৩৪ বছর জোটের সরকার চালিয়েছে রাজ্যে বামফ্রন্ট। আর এই জোটের কান্ডারি ছিল সিপিএম দল। কেন্দ্রেও জোট সরকার পরিচালনায় সিপিএম-এর বড় ভূমিকা ছিল। তাই বাংলায় সংযুক্ত মোর্চা তৈরিতেও সিপিএম-ই প্রধান ভূমিকা নিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের (Pradip Bhattacharya) সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “আমরা মানুষের চাকরির চাহিদা, মূল্যবৃদ্ধি রোধের দাবি,কৃষকদের ওপর থেকে কালা কৃষি বিল তোলার দাবি নিয়ে যেমন রাজ্যের নির্বাচনে যাচ্ছি, তেমন রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, কাটমানি, তোলাবাজির বিরুদ্ধেও মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাই বলতে পারি আমাদের এই দাবি মানুষ গ্রহণ করবেন। আর তার আভাস আমরা পেয়েছি ব্রিগেড সমাবেশে। মানুষ নিজে থেকেই এসেছেন সেদিন ব্রিগেড।”
তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “ব্রিগেড দেখে বামেরা খামোখা আনন্দিত হচ্ছেন। ওই ভিড়টা আইএসএফ-এর ভিড়। এই জোটের ফলে ভোট ভাগ হবে। লাভ হবে তৃণমূলের।”
এদিকে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের উত্তরে সিপিএম নেতা ও বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রথম শক্তি হিসেবে রাজ্যে ১৭৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছি। ভোট ভাগ হবে তৃণমূল আর বিজেপি-র । তার ফলে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। এসব নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপি-র চিন্তা করতে হবে না।”
সিপিএম এবার জোটের স্বার্থে নিজেরা অন্যবারের তুলনায় কম আসনে প্রার্থী দিচ্ছে। এবারে কম আসনে প্রার্থী দিচ্ছে বামফ্রন্ট শরিকরা। সার্বিকভাবে বামেরা চাইছে যার যেখানে শক্তি এবার সেখানে তারাই প্রার্থী দেবে।এই সূত্র মেনেই এবার জোটের সমীকরণ তৈরী করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছে সংযুক্ত মোর্চা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.