নয়াদিল্লি: সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ না করে নিজের মতামত প্রকাশ করা দেশদ্রোহিতা নয়। ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল তার রায়ে বুধবার একথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তার বিপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন ফারুক আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্যের পর সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।

বিচারপতি সঞ্জয় কৃষণ কউল ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে মামলা এদিন খারিজ করে দেন। পাশাপাশি মামলাকারীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেন তাঁরা। চার সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেট ওয়েলফেয়ার ফান্ডে এই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত এদিন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করা ও মত প্রকাশ মানেই দেশদ্রোহিতা নয়। ফারুক আবহুল্লার বক্তব্যে এমন কিছু নেই যা অবমাননাকর। শুধু তাই নয়। আদালত এও জানায়, আবেদনকারীদের সঙ্গে এই বিষয়টির কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু সংবাদ মাধ্যমে নাম আসবে বলেই তারা পিটিশন দাখিল করেছে। এমন কাজকে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।

এদিন আদালত কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি নিয়ে ফারুক আবদুল্লার মন্তব্য শোনে। মামলাকারী রজত শর্মা ও ড. নেহ শ্রীবাস্তব দুজনেই সর্দার প্যাটেলের বিশ্ব গুরু ইন্ডিয়া ভিশনের সদস্য। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ছিল, তিনি কাশ্মীরকে চিনের হাতে তুলে দিতে চান। দেশদ্রোহিতার জন্য তার শাস্তি পাওয়া উচিত। অভিযোগে এও বলা হয়েছিল ফারুক আবদুল্লার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ A ধারার আওয়ায় শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ তিনি ৩৭০ ধারা চালুর কথা বলেছেন। এটি চিনকে সাহায্য করে। গোটা ঘটনাটিকে দেশদ্রোহিতা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তাঁরা। পিটিশনে তাঁরা বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের একটি উদ্ধৃতিও তুলে দেন। সেখানে সম্বিত পাত্র বলেছেন, ফারুক আবদুল্লা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করছেন। ৩৭০ ধারা ফের চালু করার কথা বলে তিনি চিনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য মানুষকে বিপথে চালিত করছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।