সার্বিক রিপোর্টে নজর
রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে ২০১৬ সালে ভোটে বা তারপর উপনির্বাচনে ২৮২ জন বিধায়কের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে বাংলার ৩৪ জন বিধায়ক কোটিপতি। যেখানে ভোটের লড়াইয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যে শিল্প না আনা, বেকারত্ব, ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা, সেখানে এই পরিসংখ্যান তাৎপর্যবাহী। দেখা গিয়েছে রাজ্যে ২৮২ জন বিধায়কের মধ্যে ৯০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গুরুতর।
বিজেপির ৫০ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
রাজ্যে বিজেপির ৬ জন বিধায়ক মোট রয়েছেন। রিপোর্ট বলছে, এঁদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে। গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। তাহলে শতাংশের খাতে ৫০ শতাংশ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকছে। কংগ্রেসের ৩৯ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে সিপিএমের ৪২ শতাংশ বিরুদ্ধেও এমন গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কংগ্রেসের ৫১ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে ফৌজদারির অভিযোগ রয়েছে।
কোটিপতির তালিকা ও বাংলার বিধায়করা
দেখা গিয়েছে, বাংলায় কোটিপতির তালিকায় তৃণমূলের ৭৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির ২ জন, কংগ্রেসের ১৩ জন। সিপিএমের ২ জন। এদিকে, গুরুতর অপরাধের অভিযোগে সিপিএমের ১১ (২৪ জনের মধ্যে) জন অভিযুক্ত, কংগ্রেসের ২০ ( ৩৯ জনের মধ্যে) জন , তৃণমূলের ৬১ (২০৫ জনের মধ্যে) জন রয়েছেন অভিযুক্তের তালিকায়।
তৃণমূলে সবচেয়ে ধনী বিধায়ক কারা?
২৮২ জন মোট বিধায়কের মধ্যে তৃণমূলের ৭৮ জন কোটিপতি। গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১.৭৯ কোটি টাকা। দলের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী , যাঁর সম্পত্তি ৪০ কোটি টাকার বেশি। এরপর রয়েছেন জাকির হোসেন যাঁর সম্পত্তি ২৮ কোটি টাকার বেশি। জাভেদ খান রয়েছেন তৃতীয় স্থানে ,যাঁর সম্পত্তি ১৭ কোটি টাকার বেশি।
বিধায়কদের শিক্ষাগত যোগ্যতা
বাংলায় ২৮২ জন বিধায়কের মধ্যে ১ জন সাক্ষর। ১৮৭ জন স্নাতক। ডিপ্লোমা পাশ করেছেন ২ জন। অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ৯২ জনের।