কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্রধর মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতে নিতে কলকাতা হাইকোর্টে মরিয়া চেষ্টা জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার। এনআইএ’এর করা ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে মামলায় নিম্ন আদালতে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠালেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী কাল ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ছত্রধরকে হেফাজতে আনতে চাইছে এনআইএ। ২০২০ সালে ১১ বছরের পুরনো মামলায় তাঁকে হেফাজতে নিতে চায় এনআইএ। কিন্তু ওইদিন জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। পরে ফের তাঁর এনআইএ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তো যেতে পারেননি। আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল শারীরিক পরিস্থিতির রিপোর্ট। পরে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত ছত্রধর মাহাতো।
ওইদিন তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিনহা আদালতে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই মর্মে তিনি ছত্রধর মাহাতোর আরটিপিসিআর রিপোর্টও জমা দেন। তবে ছত্রধরের করোনা রিপোর্ট নিয়েও সন্দিহান প্রকাশ করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-এর তরফে ছত্রধরের ফের করোনা পরীক্ষা করানোর আবেদন করা হয়। রিপোর্ট পজেটিভ এলেও তাঁকে অন্তত হাউস অ্যারেস্ট করার আবেদন করা হয়েছিল। সেই সময়ে ছত্রধরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত উনিশের লোকসভায় জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কাছে তৃণমূলের শোচনীয় হার থেকে বেশ শিক্ষা নেয় তৃণমূল। জঙ্গলমহল তৃণমূলের রীতিমতো শক্ত ঘাঁটি ছিল। মাওবাদী সমস্যা দমন করে সেখানে শান্তি ফেরানোর প্রতিদান স্বরূপই সেখানকার জনসমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবির চমকে দিয়ে সমস্ত জেলায় ঘাঁটি গেড়ে বসে। হাতছাড়া হয় ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া। সেই জঙ্গলমহলে হৃত সমর্থন পুনরুদ্ধার করতে ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসা হয়।
জেলমুক্তির পর ছত্রধর কার্যত নায়কের মতো লালগড়ে নিজের গ্রামে ঢুকেছিলেন। তাঁকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও কত আবেগ, তা বুঝেছিলেন সকলে। তখনই জল্পনা উসকে উঠছিল, তবে কি এবার সরাসরি মূলস্রোতের রাজনীতিতে ফিরছেন ছত্রধর? সেটাই হয়। আবার এখন রাজনীতি এবং ভোটের গরম মঞ্চে যখন ছত্রধরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখনও আবারও শুরু টানাটানি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.