প্রার্থী তালিকা আজই চূড়ান্ত হওয়ার কথা
রাজ্যের প্রথম দু দফার ভোটের প্রার্থী তালিকা আজই চূড়ান্ত করার কথা বিজেপির। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে খবর। বৈঠকে অংশ নিতে বুধবার রাতেই চার্টার্ড বিমানে চড়ে নয়াদিল্লি উড়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-সহ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রথমে যাওয়ার কথা না-থাকলেও অমিত শাহের আমন্ত্রণে রাজধানীতে পাড়ি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। বিজেপি প্রথম পর্যায়ে প্রথম দু দফার নির্বাচনের ৬০টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
ডোমজুড় থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাজীবই!
প্রথম দুদফা নির্বাচনে ৬০টি আসনে চূড়ান্ত করা হচ্ছে প্রার্থী তালিকা। সকাল সকাল থেকে দফায় দফায় চলছে আলোচনা। আর সেই আলোচনাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। সূত্রের খরর, বৈঠকে ডোমজুড় থেকেই ফের প্রার্থী হতে চান বলে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগের পরেই রাজীব জানিয়েছিলেন অনেক কাজ বাকি আছে ডোমজুড়ের মানুষের জন্যে। সেদিনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে সম্ভবত ডোমজুড় থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন রাজীব। আজ বৈঠকেও ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তিনিই হতে চান বলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।
ডোমজুড়ে প্রার্থী তিনিই, স্বীকার করেছেন রাজীব নিজেই
মিটিং থেকে বেরনো মাত্র রাজীবকে ধরেন সাংবাদিকরা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, হ্যাঁ আমি মিটিংয়ে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। ডোমজুড় থেকেই প্রার্থী হওয়ার জন্যে তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তা স্বীকার করে নেন তিনি
ও যেন ডোমজুড়েই দাঁড়ায়, হুঁশিয়ারি দেন কল্যাণ
রাজভবনে গিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘রাজীব যেন ডোমজুড়েই দাঁড়ায়। বুঝিয়ে দেব।'' হুগলির ডানকুনিতে একটি কর্মসূচিতে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমি আপনাদের মাধ্যমে বলছি, অনেক সুর-বেসুর গান হয়েছে, রাজীব বন্দোপাধ্যায় যদি দল ছেড়ে অন্য দলে যায় ও যেন ডোমজুড়েই দাঁড়ায়। বুঝিয়ে দেব।'' সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন রাজীব! এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রার্থী হওয়ার তালিকায় কারা
বিজেপি সূত্রেই জানা যাচ্ছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দিতে চান তাঁরা। এলাম, টিকিট নিলাম , এমনটা চলবে না। তবে তৃণমূল থেকে সদ্য দলে আসাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও ভাবছে দল। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী, পাণ্ডবেশ্বরে জীতেন তিওয়ারি, ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পাশাপাশি বিজেপি জোর দিচ্ছে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও। সে ক্ষেত্রে সদ্য দলে আসা শ্রাবন্তী-পায়েলরাও কি টিকিট পাবেন, জল্পনা থাকছে তাই নিয়েও। শোনা যাচ্ছে বিধানসভায় লড়তে পারেন দিলীপ ঘোষও। দৌঁড়ে রয়েছেন অঞ্জনা বসু, রিমঝিম মিত্র, অগ্নিমিত্রা পালরাও।