নদিয়া জেলায় মোট ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এই জেলায় এখনও দাপট রয়েছে তৃণমূলের। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে ধীরে ধীরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শক্তি বেড়েছে বিজেপির। উল্টোদিকে, বামেরাও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে জোর টক্কর দেবে বলে প্রত্যয়ী। সব মিলিয়ে টানটান একটা বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই জেলা।
১. করিমপুর
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে ১৫ হাজার ৯৮৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন মহুয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০ হাজার ৯৮৯। অন্যদিকে, বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ভোট। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৩০২ ভোট।
২. তেহট্ট
তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেহট্ট কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের গৌরীশঙ্কর দত্ত। গতবার ৮০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের রঞ্জিত মণ্ডলকে ১৭ হাজার ৩৯৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার এই কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন পোক্ত হয়েছে। যদিও তা ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা তা সময় বলবে।
৩. পলাশীপাড়া
পলাশীপাড়া কেন্দ্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বামেদের মধ্যে জোর লড়াই হয়। যদিও শেষ হাসি হাসেন তৃণমূল প্রার্থী তাপস কুমার সাহা। ৮২ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের এস.এম. সাদিকে তিনি ৫৫৫৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। এবারও শাসকদলকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে তৈরি বাম-কংগ্রেস জোট। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপিও।
৪. নাকাশিপাড়া
নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নাকাশিপাড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কল্লোল খান। ৮৮ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের তন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৬ হাজার ২৫০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন কল্লোল খান।
৫. কালীগঞ্জ
কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটিও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোর টক্কর হয়েছিল। তবে গতবার এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। গত বিধানভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৫ হাজার ১২৫। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৮৯৮ ভোট। এবারও জোরদার একটা লড়াই দেখার অপেক্ষা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.