আব্বাসের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে হইচৈ!
বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেব আব্বাস সিদ্দিকী। সেখানে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেন আইএসএফ প্রধান। বলেন, আগামী ২০২১ সালে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী তা ঠিক করব আমি। তাঁর এহেন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিকমহলের মতে, তাহলে কি তিনি সব রাস্তাই খোলা রাখতে চাইলেন। তিনি বলেন, সমীক্ষা বলছে কেউ একা সরকার গড়তে পারবে না। তাঁকে ছাড়া নাকি কিছুই হবে না। রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, ভোটের ফলাফল দেখার পরেও কি অন্য রাস্তায় হাঁটবেন তিনি।
তৃণমূলের উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন পিরজাদা আব্বাস!
গত কয়েকদিন আগেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁর টুইট নিশানায় সাফ করে দিয়েছেন বিজেপির টার্গেট। পশ্চিমবঙ্গের সমীকরণ নিয়ে কৈলাশ জানিয়েছেন, তৃণমূলের উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আর বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী হলেন আবদুল মান্নান। কলকাতার মেয়র হলেন ফিরহাদ হাকিম। কোথায় যাচ্ছে বাংলা। বাংলার মানুষকে এবার ভাবতে হবে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁর এই টুইটে সাফ করে দিয়েছেন বিজেপির টার্গেট বাংলায় কারা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ৭০ শতাংশ ভোটকেই টার্গেট করছে, এটা তার আরও একটা প্রমাণ। ভোট মেরুকরণের রাজনীতিকে উসকে দিয়েছে এই টুইট। ২০২১-এর যুদ্ধ জিততে যে ভোট মেরুকরণ অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে, তা বলাই বাহুল্য।
পৃথিবীর সবথেকে বড় ব্রিগেড হল কলকাতায়!
ইতিহাসের সবথেকে বড় ব্রিগেড নাকি কলকাতায় হল! সমাবেশের ভিড় থেকে রীতিমত আত্মবিশ্বাসী আব্বাস ভাইজান। তাঁর ইঙ্গিত, ব্রিগেডে নাকি তিনিই সবথেকে বেশি ভিড় দেখিয়েছেন। আর সেই ভিড় ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ব্রিগেডের পর থেকেই তাঁকে নাকি বারবার টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি আবাসের। যেটা আগে করা হতো না। এমনকি বিজেপিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে। ওরা ভয় পেয়েছে বলে দাবি আব্বাসের। তবে এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক! বিশেষত বাম বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মতে, আব্বাস অতীতে বামেদের ব্রিগেডের ভিড় দেখেনি। আর দেখেনি বলেই হয়তো এভাবে বসে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি!
দ্বিগুণ মানুষের জমায়েতের দাবি করেছিল আব্বাস!
ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার বাম নেতৃত্বের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল পিরজাদার গলায়। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম, এমন কথাই বলে ছিলেন আব্বাস। যাতে স্পষ্ট ছিল ব্রিগেডের ভিড়ে তাঁর অবদান আছে অনেকটাই। বয়সে নতুন হলেও আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সমর্থকের একটা বড় অংশ হাজির ছিল ব্রিগেডে। বাং-কংগ্রেসের ব্রিগেড ঘিরে রাজ্যে হইচই হল। নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করলেন বিমান-সূর্যরা। ভোটের আগে অক্সিজেনও পেলেন লাল পতাকাধারীর। কিন্তু ব্রিগেডের সুতো যেন থেকে গিয়েছে পিরজাদার অদৃশ্য হাতেই। আর আজ সেটাই তুলে ধরলেন আব্বাস।