চেন্নাই: তামিলনাড়ুর নির্বাচনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন AIADMK থেকে বহিস্কৃত নেত্রী ভি কে শশীকলা। রাজনীতি ছাড়লেন তিনি। এ বছর জানুয়ারি মাসেই বেঙ্গালুরুর জেল থেকে ছাড় পেয়েছেন। তারপরই জল ঘোলা হচ্ছিল শশীকলা রাজনীতিতে ফিরবেন কিনা। এদিন তার মীমাংসা করলেন জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ নেত্রী। জানিয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান তিনি।
বুধবার রাতে একটি চিঠিতে শশীকলা লেখেন, “জয়া বেঁচে থাকার সময় আমি কখনও ক্ষমতা বা পদের পিছনে দৌড়ইনি। তাঁর মৃত্যুর পরও এর পিছনে ছুটব না। আমি রাজনীতি থেকে দূরে থাকছি। তামিলনাড়ুতে AIADMK-র গোল্ডেন রুলের ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করছি। আমি ভগবান ও আমার বোনের (জয়ললিতা) কাছে AIADMK-র জয় নিয়ে প্রার্থনা করব। দলের সমর্থকদের কাছে প্রার্থনা করব তারা যেন একসঙ্গে লড়াই করে DMK-কে হারিয়ে দেয়। দলের কর্মীদের কাছে প্রার্থনা করব তাঁরা যেন তাঁদের উত্তরাধিকার বজায় রাখেন।”
জানুয়ারির মাসের শেষে জেল থেকে ছাড়া পান শশীকলা। ২০১৭ সালে শশীকলার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ৬৬ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হন জয়ললিতার বান্ধবী। আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তারপর চার বছর কারাবাসের সাজা হয় তাঁর। এমনকী জয়ললিতার মৃত্যুর ক্ষেত্রেও তাঁর হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জেলে থাকাকালীনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জেলে নাকি তাঁকে VVIP সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিন সাতেক আগে করোনায় আক্রান্ত হন শশীকলা। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছিল তাঁর। এর ফলে কয়েকদিন তাঁকে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। ICU-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। প্রাক্তন AIADMK নেত্রী কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তখন নির্দল বিধায়ক তথা জয়ললিতার ভাইপো টি টি ভি দিনাকরণ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই শশীকলার ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপর জানা যায় নেত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। আর এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিন শশীকলা নিজেই সেই জল্পনায় ইতি টেনে দিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.