কলকাতা : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবে শিব সেনা। সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-র পর বাংলার বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election) এবার তৃণমূলকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানাল শিব সেনা (Shiv Sena)। একটি আসনেও রাজ্যে প্রার্থী দেবে না উদ্ধব ঠাকরের দল। ট্যুইট এমনই জানিয়েছেন শিব সেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “বাংলার বাঘিনী” বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের পর শিব সেনার রাজ্য নেতৃ্ত্ব সন্ধেবেলা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে।
শিব সেনার এই ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, আগে শিব সেনা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধবের সঙ্গে আলোচনা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে হাত শক্ত করা দরকার, তা তারা বুঝেছে। তাই বলেছে প্রার্থী দেবে না।”
জানুয়ারির মাঝামাঝি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে অন্তত ১০০ জন প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন উদ্ধব ঠাকরের দল শিব সেনা । ট্যুইটে “জয় হিন্দ, জয় বাংলা” লিখে নির্বাচনী লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে পরিচিত শিব সেনা তাৎপর্যপূর্ণভাবেই এ রাজ্যের জঙ্গলমহল অর্থাৎ আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জায়গায় লড়াইয়ের জমি খুঁজছিল দীর্ঘদিন ধরে। সপ্তাহ কয়েক আগেই ঝাড়গ্রামে বড় জনসভা করে এই বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের শিব সেনা নেতারাও। বিজেপির হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে তাঁদের হিন্দুত্বের ধারণার ফারাক তুলে ধরেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক অশোক সরকার। তাহলে আজ কী হলো? এই নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলল উদ্ধব ঠাকরের দল। বৃহস্পতিবার টুইটে শিব সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তাঁরা আলাদা করে লড়বেন না। “দিদি” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় নিজেদের ভূমিকা পালন করবেন তারা । এরপরই সঞ্জয় রাউত জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলার আসল বাঘিনী। তিনি বাঘিনীর মতো লড়াই করেন। তাই তাঁর সাফল্য কামনা করছি।” পাশাপাশি দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনা করেই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও ট্যুইটে উল্লেখ করেছেন সঞ্জয় রাউত। শিব সেনার এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের কতটা সুবিধা হবে, তা সময় বলবে । তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রাথমিক মত, শিব সেনার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর অর্থ আসলে বিজেপির প্রত্যাশিত হিন্দু ভোট পেতে সাহায্য করা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.