ওসলো: বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্ন প্রজাতি ও উপজাতির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুত ও অবাক করা সামাজিক রীতি-নীতি রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই পুরোনো বেশ কিছু সভ্যতা থেকে চলে আসছে। কিছু অভ্যেস প্রশ্ন তোলে আবার কিছু কিছু হাস্যকর। তেমনই অদ্ভুত ছিল এই একটি রীতি। নরওয়ের এক উপজাতি তাদের বাসিন্দাদের মৃত্যু হলে সেই দেহের সঙ্গে কবর দিতো একটি বিশাল সমুদ্রযান। তা হলো জাহাজ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে যে কেন তারা মৃতদেহের সঙ্গে সামধিতে পাঠাতো একটি আস্ত জাহাজ? এই উত্তর জানতে গেলে আগে জানতে হবে এই উপজাতির তথ্য।

নরওয়ের ভাইকিং জাতি এই প্রথা মেনে চলতো। ১৯০৪ সালে একটি জাহাজ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সেখানে। ওজবার্গের জাহাজ ছিল সেটি। এই জাহাজ সরাতেই দুই মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছিলো। অদ্ভুত কথা হলো যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছে জাহাজ সেখানে সমুদ্রের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না কখনো। আগে এই উপজাতি বাস করতো স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে। পরে তারা সমুদ্রের কাছাকাছি বাস করা শুরু করেছিল।

৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১ শতক পর্যন্ত চলেছিল এই সভ্যতা। তাদের বিশেষ গুণ ছিল জাহাজ বানানোর। কোনো এক জাহাজ কোন পথে যাবে বা কি পরিমাণ ভার বহন করবে তা বিবেচনা করে তারা জাহাজ বানাতে পারতো। যে কোনো নাবিকের সফল সমুদ্রযাত্রার বিবরণ শুনে সেই রুটের জাহাজ বানিয়ে দিতো তারা। তারা যে ২ ধরণের জাহাজ বানাতো তার মধ্যে একটি ছিল যুদ্ধ জাহাজ। এটি তারা যুদ্ধে শত্রু দেশগুলিতে আক্রমণের জন্যে ব্যবহার করতো।

তারা যে এলাকায় থাকতো তা ছিল অত্যন্ত রুক্ষ আর শীতপ্রধান। তাই নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদেই তারা বিভিন্ন দেশে অভিযান চালাতো প্রতি বছর। এভাবেই লুটপাট করে তারা নিজেদের প্রভাব যেমন বৃদ্ধি করে তেমনই শীতের সঙ্গে লড়াইয়ের সরঞ্জামও আনতো। তাই জাহাজ তাদের সমাজে দাম্ভিকতার পরিচয় বহন করতো। সামাজিক পরিচয় মৃত্যুর সময়েও বজায় রাখতে তারা দেহের সঙ্গে একটি করে জাহাজ দিতো কবরে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।