জোর কদমে জনসংযোগ
আদালতের নির্দেশে নিজের জেলায় ঢোকার অধিকার পেয়েছেন কয়েকমাস হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই চালিয়ে গিয়েছে জনসংযোগ। মূলত পায়ে হেঁটেই প্রচার চালিয়েছেন গ্রামের পর গ্রাম। লালমাটিতে ধুলো উড়িয়ে জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছে পুরনো সতীর্থদের। দলের পুরনো কর্মী যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের ভরসা জোগাচ্ছেন নিরাপত্তার। অনেক জায়গাতেই তাকে দেখে পুষ্প বৃষ্টিও করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারে সুশান্ত ঘোষ
নির্বাচন সামনে এসে গিয়েছে। নিজের পুরনো কেন্দ্র গড়বেতাই হোক কিংবা পাশের কেন্দ্র শালবনি বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ। বসছেন পার্টি অফিসে। ২০১১-তে পরিবর্তনের বছরে যে কয়েকটি আসন জিততে পেরেছিল সিপিএম তার মধ্যে ছিল সুশান্ত ঘোষের গড়বেতাও। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন জেলে কাটাতে হয়েছে। আর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে জেলায় ঢোকার অনুমতি পাননি। তারই মধ্যে ২০১৬-র নির্বাচনে গড়বেতা চলে গিয়েছে তৃণমূলের কব্জায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের লালমাটির এই জায়গায় লাল পতাকা তুলে ধরার পণ করে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে দেখতে কিংবা তাঁর সভাগুলিতে ভিড়ও হচ্ছে বেশ।
শালবানির গ্রামে গিয়ে হুঁশিয়ারি
তিনি গিয়েছিলেন, শালবনির ভালুকশোল গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, মাওবাদীরাও জানে, তৃণমূলের বাপ-ঠাকুরদাও জানে, বিজেপির বাপ-ঠাকুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে। দীর্ঘ দিন দলীয় কর্মীদের পাশে থাকরতে পারেননি। কিন্তু এই সময়ে যাঁরা দলীয় কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা দেখাবে, তাঁদেরকে তুলে এনে হাত পা ভেঙে দিয়ে তিনিই চিকিৎসা করাবেন বলেছেন। এব্যাপারে অবশ্য সিপিএম-এর পক্ষ থেকে সাফাইও দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও বামকর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সেই সময় পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিলেন না। এবার সুশান্ত ঘোষ সাহস জোগানোর চেষ্টা করছেন।
দাঁড়াতে পারেন শালবনি থেকে
সূত্রের খবর অনুযায়ী এবার সুশান্ত ঘোষ দাঁড়াতে পারেন শালবনী থেকে। অন্যদিকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র গড়বেতা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তপন-সুকুর জুটির তপন ঘোষ।