লন্ডন: মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা এমনটাও কি ভাবা যায়? এই জায়গায় এটা দিয়েও আসতো টাকা। তবে কাজে লাগতো না গোটা দেহটি। একটি বিশেষ অংশ দিয়েই চলতো কারবার। উনিশ শতকে এই ব্যবসার ছিল রমরমা বাজার। ভাবছেন কী সেই জিনিস যা মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করতে হতো?

আসলে এটি ছিল দাঁত। নকল দাঁতের ব্যবসা যে শুধু আজকের সময়ে গজিয়ে উঠেছে তা নয়। এই ব্যবসা অনেক আগে থেকেই চলছে দুর্দান্ত সফলভাবে। যাদের আসল দাঁত ক্ষয়ে যায় তারা সেই জায়গায় লাগায় নকল দাঁত। কিন্তু এই দাঁত তো আর জীবিত মানুষের থেকে সংগ্রহ করা যায় না। তাই মৃতদেহ থেকে নেওয়াটা অনেক সোজা ছিল। কিন্তু আসল দাঁত থাকতেও ব্রিটিশরা তা ফেলে দিয়ে লাগাতো এই নকল দাঁত। আসল দাঁত ক্ষয়ে যেত বলে এমনটা করতো তারা। তবে সেই সময়ে শ্রেণী বৈষম্য ছিল এই দাঁত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। উচ্চবিত্তরাই তা ব্যবহার করতো।

প্রকাশ্যে চুরি করা যেত না মৃতদেহের দাঁত। তাই লুকিয়ে চুরি করে তা নানাভাবে প্রসেসিং করা হতো যাতে তা দীর্ঘ সময় ধরে টেঁকে। এরপর তা চাহিদা অনুযায়ী জীবিত মানুষদের মুখে বসানো হতো। এখনকার মতো চিকিৎসা বিজ্ঞান ততটা উন্নতি করেনি বলেই নকল দাঁত পাওয়ার বিকল্প পথ এটাই ছিলো তাদের কাছে। এখন আবার অ্যাক্রিলিক রেসিন প্লাস্টিক বা অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করা হয় নকল দাঁত বানাতে। একটি গোটা দাঁতের পাটি জোগাড় করা সহজ কাজ ছিলো না।

তবে ওয়াটারলুর যুদ্ধ হওয়ার পর এই দাঁত সংগ্রহের আরেকটি পদ্ধতি আবিষ্কার করলো ব্রিটিশ দন্ত চিকিৎসকরা। যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে মারা যাওয়া সৈন্যদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল আসল দাঁত। জীবিত সৈন্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই যেমনভাবে পেরেছে মৃত সৈন্যদের দাঁত নিয়েছে খুলে। এই দাঁতের নাম ছিল ওয়াটারলু দাঁত। তবে এই নকল দাঁত ব্যবহারকারীদের কাছে তথ্য ছিলো না যে কীভাবে তার জন্যে জোগাড় করা হলো দাঁত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।