ভারতকে সমীহ
২০১২ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে কোনও টেস্ট সিরিজ হারেনি ভারত। ২০১২-তে ভারত থেকে সিরিজ জিতে ফিরেছিল ইংল্যান্ড। বিদেশের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য রুটবাহিনীর বিজয়রথ থেমেছে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে। মোতেরায় গোলাপি বলের টেস্টেও হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সফলতম ইংল্যান্ড অধিনায়কই। ব্যাট হাতে রান করার পর মোতেরায় স্পিন সহায়ক উইকেটে ৮ রানে ৫ উইকেটে চমকে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, দেশের মাটিতে ভারতের রেকর্ড অসাধারণ। এই পরিস্থিতিতে সিরিজ ড্র রাখাও আমাদের কাছে কম কৃতিত্বের নয়। বিশেষ করে দুটি টেস্টে টানা হারের পর।
স্পেশ্যাল টার্গেট
রুটের দাবি, গত দুই সপ্তাহ আমাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং গিয়েছে। তবে এর নিরিখে আমাদের দলকে বিবেচনা করা সঠিক হবে না। ভারতে সিরিজ ড্র রাখা আমাদের কাছে স্পেশ্যাল হতে চলেছে, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সিরিজ ড্র রাখাই আমাদের দলের ক্রিকেটারদের কাছে এক বড় নজির তৈরি করবে। দলের প্রথম একাদশ নিয়ে কোনও ইঙ্গিত রুট দিতে চাননি। তবে ডম বেসের দলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়েও দেননি।
পিচ বুঝতে ভুল নয়
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, গত টেস্টের মতো উইকেট হলে নিঃসন্দেহে বেসের কথা ভাবা হবে। সুযোগ পেলে বেস যে তা স্মরণীয় করে রাখবেন তাও বলার অপেক্ষা হবে না। আগের ম্যাচে পিচের চরিত্র বুঝতে আমাদের ভুল হয়েছিল। সে কারণেই দল নির্বাচন সঠিক হয়নি বলা হচ্ছে। গোলাপি বল যে এত গতি নিয়ে ঘুরবে সেটাও আমাদের ধারণায় ছিল না। ফলে পিচ আগের টেস্টের মতোই হলে বেসের কথা নিঃসন্দেহে বিবেচিত হবে। পিচে বল ঘুরবে বলেই মনে হচ্ছে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। তাঁর সঙ্গে বেসের তুলনাতেও মাথা ঘামাতে নারাজ রুট। এগিয়ে রাখছেন দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনারকেই।
সিরিজ ড্রয়ের লক্ষ্যে
রুট আশাবাদী ২০১৯ সালের মতো এবারও ভারত থেকে সিরিজ ড্র রেখেই দেশে ফিরতে পারবেন। তাঁর নেতৃত্বে দলের সামগ্রিক খেলাতেও খুশি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। বলছেন, এই টেস্ট জিতলে শ্রীলঙ্কা ও ভারতে মোট ৬টি টেস্টে ৪টিতে আমরা জিতব। সেটাও এক অসাধারণ কৃতিত্ব হবে দলের কাছে।