তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : শাসক তৃণমূল, বিরোধী বিজেপি ও বাম কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু করলো এস.ইউ.সি.আই (কমিউনিস্ট)। বুধবার ঐ দলের ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সদানন্দ মণ্ডল বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবারই বাঁকুড়ার ১২ কেন্দ্রের মধ্যে ১১ টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে এস.ইউ.সি.আই (কমিউনিস্ট)। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় এই জেলার চার কেন্দ্রে ভোট। তার মধ্যে অন্যতম ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্র। শাসক কিংবা বিরোধী দল গুলি যখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণাই করতে পারেনি, ঠিক তখনই ছাতনা কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বাঁকুড়া জেলার ভোট যুদ্ধে শাসক ও অন্যান্য বিরোধীদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল বাম মনোভাবাপন্ন এই রাজনৈতিক দলটি।

ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের এস.ইউ.সি.আই (কমিউনিস্ট) প্রার্থী সদানন্দ মণ্ডল বলেন, দিল্লীতে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ২০০ জন আন্দোলনকারী মারা গিয়েছেন। আমরা তাঁদের উত্তরসূরী। দিল্লীর ঐ আন্দোলনকে এরাজ্যে তীব্রতর করতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রের পরিবর্তনও
দরকার বলে তিনি দাবি করেন।

অন্যদিকে, করোনাকালে এবার রাজ্যে ভোটদানের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে রাজ্যে। জেলায়-জেলায় সেই বাহিনী টহলদারি শুরু করেছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় রুটমার্চ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোরও কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে এসে যাবে আরও ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছেন জওয়ানরা। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আট দফায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল।

৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে।

রাজ্যে এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে জোরদার তৎপরতা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা ভোটের জন্য এরাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে। মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করে বাংলায় পাঠাচ্ছে কমিশন। রাজ্যে ভোটে আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বি মুরলিকুমারকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।