টোকিও: বিদেশ থেকে এসে দর্শকেরা কী টোকিওতে অলিম্পিক চাক্ষুষ করতে পারবেন নাকি বঞ্চিত হতে হবে তাদের? টোকিও অলিম্পিক ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে চলতি মাসেই। পাশাপাশি দেশীয় সমর্থকেরা ঠিক কত সংখ্যায় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন, বিষয়টি নির্ধারিত হবে এপ্রিলে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন আয়োজক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমোতো।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, টোকিও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে আয়োজক কমিটি। দেশজুড়ে অলিম্পিক মশাল র‍্যালি কবে থেকে শুরু হবে, সে ব্যাপারে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আয়োজক কমিটির সভাপতি হাশিমোতো জানিয়েছেন, হোটেল এবং ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেছে।

উল্লেখ্য, বুধবার স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং টোকিও প্রশাসন বিদেশি দর্শক প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। এমন খবরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদে সুগাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে এখনও অবধি নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, টোকিও প্রশাসন এবং আয়োজক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

জাপানের রাজধানী টোকিও এবং তদসংলগ্ন অঞ্চলে এখনও করোনার কারণে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। আগামী ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার শেষদিন থাকলেও আরও দু’সপ্তাহ সেটাকে বর্ধিত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংক্রমণের মাত্রা কমলেও জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান টোকিও গভর্নর যুরিকো কোইকে সাবধান করেছেন সাধারণ মানুষকে। উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে টোকিও সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছলে চলতি বছরেও অলিম্পিক আয়োজনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

বিশেষ কারণ ছাড়া এখনও জাপানে সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে এখনও। তবে অলিম্পিকের কথা ভেবে জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর অ্যাথলিট এবং কোচেদের বিশেষ ক্যাটেগরিতে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে জাপান সরকার। নিক্কি সংবাদমাধ্যমে গতমাসে তেমন খবরই প্রকাশিত হয়েছিল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।