নয়াদিল্লি: সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা বা জেনারেল অ্য়াসেম্বলি ৩ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে পালন করার কথা স্থির করে। তারপর থেকে দিনটি বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

এই বছর বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসের থিম হল ‘Forests and Livelihoods: Sustaining People and Planet’। এই বছর রাষ্ট্রসংঘ লক্ষাধিক মানুষকে জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে বাস্তুতন্ত্রের প্রভাব এবং বনাঞ্চলের ভূমিকা সামনে আনার কথা বলেছে। তবে বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। অনেক জায়গাতেই কিছু স্থানীয় মানুষ রয়েছেন যাঁরা বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য আওয়াজ তুলেছেন। এখানে ৫ টি ভারতীয় সংস্থার কথা উল্লেখ করা হল যারা আমাদের দেশে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে। তারা বিশ্বে তাদের জন্য আরও ভাল জায়গা তৈরি করেছে।

ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস: এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। ভারতের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, বন ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে এর সূচনা। ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস দেশে বন্যজীবন সংরক্ষণের জন্য যে চেষ্টা চালাচ্ছে তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত।

ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া: এই সংস্থাটি ১৫০ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বন্যপ্রাণ এবং তাদের আবাস সংরক্ষণ করতে চেষ্টার কোনও কসুর করে না। এর লক্ষ্য হল বন্যপ্রাণ এবং তাদের আবাস সংরক্ষণ। এরা বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ করে।

ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া: এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এই সংস্থার পিছনে রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই সংস্থা প্রশংসিত হয়েছে। এটি কেবল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজই করে না, এরা বন্যপ্রাণ নিয়ে গবেষণা ও পরিচালনার নিয়ে কোর্সও করায়।

আরণ্যক: এই সংস্থা গুয়াহাটিতে অবস্থিত। আরণ্যক একটি শিল্প গবেষণা সংস্থা। এটি সম্পূর্ণ হিমালয় জুড়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে। আরণ্যক পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষণার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রচারও চালায়। এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে।

নেচার কনজারভেশন ফাউন্ডেশন: এটি ১৯৯৬ সালে একটি চ্য়ারিটেবল ট্রাস্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থার লক্ষ্য হল ভারতের বন্যপ্রাণের ইউনিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বিষয়ে জ্ঞান দান করা। এছাড়া প্রবাল প্রাচীর সংরক্ষণ ও ট্রপিকাল রেইন ফরেস্টে রক্ষাও এদের কাজ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।