কলকাতা: পেট্রোপণ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বেকারদের কাজের দাবিতে আগামী ৬ মার্চ, ২০২১ রাজ্যব্যাপী প্রচার অভিযানের কথা ঘোষিত হল। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ এই অভিযানের ঘোষণা করেছে। এটা সংযুক্ত মোর্চার প্রথম ঘোষিত প্রোগ্রাম।
পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে হু হু করে। ২০১৪ সালে পেট্রোলের দাম ছিলো লিটার প্রতি ৬৬ টাকা। ডিজেলের দাম ছিলো ৪৮ টাকা। এখন তা যথাক্রমে ১০০ টাকা এবং ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। রান্নার গ্যাসের দাম এই সময়কালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এর ফলে বাজারে মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল, ডিম, ডাল, মশলা সহ প্রায় সব কিছুর দাম বাড়ছে।
একদিকে অর্থনৈতিক মন্দা ও মহামারীজনিত পরিস্থিতিতে মানুষের কর্মচ্যুতি ঘটেছে, মজুরি হ্রাস পেয়েছে। এবং বেকারদের কাজের সুযোগ কমেছে। অন্যদিকে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ মার্চ শনিবার রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় বিকেন্দ্রীভূতভাবে এবং কলকাতায় কেন্দ্রীয়ভাবে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ’এর আহ্বানে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ও কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলনে নামার আবেদন করা হচ্ছে। বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক মিছিল সংগঠিত করা হবে এবং কলকাতায় ওই দিন বিকেল ৩টায় এন্টালি বাজারের সামনে জমায়েত হয়ে একটি মিছিল বের করা হবে যা মহাজাতি সদন পর্যন্ত যাবে। এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের জন্য রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ’র পক্ষ থেকে আমরা আবেদন জানাচ্ছি।
সংযুক্ত মোর্চার বক্তব্য, মহামারীর কারণে মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু সরকারকে রাজস্ব আদায় করতে হলে কোনও না কোনও পথ অবলম্বন করতে হবে। তাই পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে সরকার। কারণ সরকার ভালোই জানে, পকেটে টান পড়লেও পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য কিনতে হবে। যানবাহন চালানোর জন্য তা অবশ্যাম্ভবী। তাই এই রাস্তা নিচ্ছে শাসক দল। তাঁদের মূল মন্ত্র, “দল বদল নয়, বদল হোক মানুষের জীবনযাত্রার।” মূলত এই দাবি নিয়েই মোদীর জনসভার ঠিক আগের দিন রাস্তায় নামতে চলেছে তারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.