দেশের অধিকাংশ পাটকল বাংলায়
এর আগে ২০১৯ এ কাঁচা পাটের নুন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছিল। প্রতি কুইন্টাল পাটের দাম বাড়ানো হয়েছিল ২৫০ টাকা করে। আর এবার নির্বাচনের মুখে ফের বাড়ানো হতে পারে পাটের ন্যূনতম সহায়তা মূল্য। যার প্রভাব পড়তে পারে ইভিএম-এ। উল্লেখ্য, দেশে প্রায় ৭০টি পাটকল আছে, যার মধ্যে ৬০টি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত।
৫৫.৮১ শতাংশ লাভের অঙ্ক
কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমএসপি থেকে উৎপাদনের গড় ব্যয় পুরো ভারতের জন্য ৫৫.৮১ শতাংশ লাভ পাবে। কাঁচা পাটের এমএসপি কৃষকদের কাছে ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করতে এবং পাট চাষে বিনিয়োগ করা এবং এর ফলে দেশে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলার লাভ
সমীক্ষা বলছে, পাট উৎপাদনের জন্য শুধু এরাজ্যে ২ লক্ষ শ্রমিক আছে। এই শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবার যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে লাভবান হবে, তা বলা বাহুল্য। সূত্রের খবর, টিডিএন-৩ মানের পাটের সহায়ক মূল্য অনেকটাই বাড়তে চলেছে। এ রাজ্যে যার উৎপাদন বেশি। যা বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
লাভ হতে পারে বিজেপির
কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে বক্তব্য পেশ করেছিলেন। এদিকে ভোটমুখী বঙ্গেও বিজেপি কৃষকদের বোঝাতে চাইছে যে, মোদী এবং বিজেপি তাঁদের পাশেই রয়েছে। এই আবহে পাটচাষীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে হুগলিতে নিজেদের জমি আরও পোক্ত করতে চাইছে বিজেপি।