আবুধাবি: মাত্র ছ’দিন আগের ঘটনা। মোতেরায় ভারত বনাম ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ তথা পিঙ্ক বল টেস্ট শেষ হয়েছে মাত্র দু’দিনে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোতেরার পিচ নিয়ে কতিপয় প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটারদের চক্ষুশূল হয়েছে নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামের পিচ। বৃহস্পতিবার অন্তিম টেস্ট শুরুর আগে অবধি চর্চায় মোতেরার বাইশ গজ। এই ঘটনার আবহেই আর একটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের নিষ্পত্তি হল মাত্র দু’দিনেই। আবু ধাবিতে প্রথম টেস্টে আফগানিস্তানকে মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে পরাজিত করল জিম্বাবোয়ে।
অর্থাৎ, ভারত-ইংল্যান্ডের পর টানা দ্বিতীয় টেস্ট হিসেবে বুধবার আবু ধাবিতে আফগানিস্তান-জিম্বাবোয়ে টেস্ট শেষ হল মাত্র দু’দিনে। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার। শেষবার এমনটা হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে দু’ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবোয়ে। প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয়দিন দ্বিতীয় ইনিংসেও আফগানিস্তানকে ১৪০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলে জিম্বাবোয়ে। জবাবে মাত্র ১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩.২ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় জিম্বাবোয়ে।
প্রথম ইনিংসে মুজারাবানির ৪ উইকেট এবং ভিক্টর নিয়াউচির ৩ উইকেটে ভর করে আফগানিস্তানকে মাত্র ১৩১ রানে অল-আউট করে দেয় জিম্বাবোয়ে। জবাবে ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবোয়েকে ব্যাট হাতে সাহারা দেন সেন উইলিয়ামস। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় শতরান হাঁকিয়ে (১০৫) জিম্বাবোয়ের রান আড়াইশোর গন্ডি ছুঁতে সহায়তা করেন সেন। যোগ্য সঙ্গত দেন সিকন্দর রাজা (৪৩) এবং রেগিস চাকাবভা (৪৪)।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ফের বল হাতে জ্বলে ওঠেন নিয়াউচি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া ডোনাল্ড তিরিপানোর ৩ উইকেট এবং মুজারাবানির ২ উইকেটের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচের দ্বিতীয়দিন ১৩৫ রানে শেষ হয় আফগানিস্তান। সফরকারী দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় মাত্র ১৭ রান। কোনও উইকেট না হারিয়ে সেই রান তুলে সিরিজে লিড নেয় জিম্বাবোয়ে।
তবে দু’দিনে শেষ হলেও শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের রাশ স্পিনারদের হাতে নয়, বরং সিমারদের হাতে ছিল। মুজারাবানি, নিয়াউচি এবং তিরিপানো জিম্বাবোয়ের এই ত্রিফলা পেস আক্রমণেই জারিজুরি শেষ হয়ে যায় আফগানদের। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানদের হয়ে ব্যাট হাতে একাই ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.