দিল্লি: বিশ্ব জুড়ে বিয়ের এমন কিছু আজগুবি নিয়ম প্রচলিত রয়েছে যা অবাক করে আমাদের। সেগুলি কিছু কিছু হাস্যকর আবার কিছু কিছু বেশ ভয়েরও। তবে এই নিয়মগুলি বিশেষ কিছু প্রজাতির মধ্যেই লক্ষ্য করা যায় সাধারণভাবে। বিয়েতে দুটি মানুষ একে অপরকে খুঁজে নেয় বাকি একসঙ্গে চলার জন্যে। কিন্তু যদি আপনাকে বলা হয় আপনার হবু বৌকে খুঁজতে হবে জঙ্গলে গিয়ে? ভয়ে পেয়ে পিছিয়ে আসবেন নাকি খুঁজেই ছাড়বেন? এই রীতিই প্রচলিত রয়েছে আমাদের দেশেরই এক বিশেষ অংশে। সেটি হলো আমাদের দক্ষিণ ভারতে।
কেরলে একটি প্রজাতি এই প্রথা মেনে চলছে। মুথুভান সম্প্রদায়ের লোকেরা একেই জীবনসঙ্গী খোঁজার উপযুক্ত পন্থা হিসেবে দেখে। তবে কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে সেরা আগে থেকেই ঠিক করা থাকতো। বিয়ের যাবতীয় সব কথা দুই পরিবারের মধ্যে পাকা হওয়ার পর হবু বউয়ের পরিবার ও বন্ধুরা তাদের মেয়েকে গভীর জঙ্গলে রেখে আসতো। আবার বিয়ের সাজেই লুকিয়ে থাকতো মেয়েটি।
এই বিশেষ সম্প্রদায় তামিলনাড়ুর বিশেষ খ্যাত শহর মাদুরাই থেকে কেরলে এসে পৌঁছেছিল। ছেলেরা বিয়ের উপযুক্ত হলে জঙ্গলে পাত্রী খোঁজে। এমনকি গভীর জঙ্গলে ঢুকে তারা খুঁজে বেড়ায় মেয়ে। খুঁজে পেলে সেখানেই বিয়ে করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ছিল একটি সমস্যাও। যদি কোনো ছেলে তার বউ খুঁজে আনতে ব্যস্ত হতো তাহলে আবার সে যতদিন না বউ খুঁজে পাচ্ছে ততদিন অবিবাহিত থাকতো। সেক্ষেত্রে যার বিয়ে হওয়ার কথা তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেওয়ার রীতিও ছিল। যতক্ষণ না পাত্র তার বউ খুঁজে পাচ্ছে ততক্ষণ তার যত্ন রাখতো কনের বাড়ির লোক। বর চলে এলে তাকে পাত্রস্থ করতো মেয়েটির বাড়ির লোক।
আরো পোস্ট- আইপিএল নিয়ে এবার উলটো সুর স্টেইনের গলায়
অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বউকে খুঁজতো জঙ্গলে। তবে হাল ছাড়লেই বিপদ কারণ গ্রামবাসী তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে অযোগ্য বলে অপদস্থ করবে। বিয়ের আয়োজন করা থাকতো জঙ্গলেই। দুজন দুজনকে খুঁজে পেলেই সেখানেই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। তবে এতেই জঙ্গলের অধ্যায় শেষ নয়। বিয়ের সেই প্রথম রাত তাদের কাটাতে হতো একা জঙ্গলেই। তারা বানাতো নিজের জন্যে বিশেষ ঘর। বাসর রাত কাটিয়ে তারা ফিরত পরের দিন সকালেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.