কায়রো: “মাছে ভাতে বাঙালি”- এই প্রবাদ আমরা প্রতিটি বাঙালিই জানি। তবে আরেক সভ্যতা ছিল যাদের কাছে মাছ ছিল অন্যতম খাদ্য। তাও আবার এমন একটি মাছ যা আমরা এখনো খাচ্ছি। ভাবতেও অবাক লাগে যে ৬০০০ বছর আগেও এই মাছের অস্তিত্ব ছিল আমাদের মধ্যেই। মূলতঃ শিশুদের জন্যে এই মাছটি খুবই দরকারি বলে জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। অর্থাৎ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সামাজিক নানা অভ্যেসে মিল রয়েছে আমাদের অনেক আগে থেকেই। এই বিশেষ সভ্যতাটি নানা দিক থেকে বেশ জনপ্রিয় গোটা বিশ্বে।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় চল ছিল তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার। এর তখন নাম ছিল “টিলাপিয়াটি”। সেইসব অদ্ভুত তথ্য সামনে আসছে একের পর এক মমি আবিষ্কারের পর থেকে। এই মাছ পাওয়া গিয়েছে নীল নদ থেকে। এক মমির দেহ গবেষণা করার সময়ে পেট কেটে পাওয়া যায় এই মাছটি। ৩৫০০ থেকে ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই মমিটি এমন জানিয়েছেন গবেষকরা। এছাড়া এর পেট থেকে বেরিয়েছে যব, সবুজ পেঁয়াজ।
তবে শুধু যে খাবার হিসেবে একে গ্রহণ করা হতো তা নয়। বিভিন্ন ধর্মীয় কাজেও এর ব্যবহার হতো। দেবতাদের উৎসর্গ করা হতো এই মাছ। এইদিক থেকে আমাদের বর্তমান সমাজের আচারের সঙ্গে মিল রয়েছে এই রীতির। আমাদের সমাজেও মাছকে শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই যে কোনো শুভ অনুষ্ঠানে মাছ রাখা এমনকী মাছ খাওয়ারও রীতি রয়েছে প্রচলিত। আবার যে কোনো বিপদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে মিশরীয়রা মাছের আকারের রক্ষাকবচ ব্যবহার করতো বলেও জানা গেছে। তাই সমাজে শিল্প, ধর্ম ও প্রাত্যহিক জীবনেও এই বিশেষ মাছের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
খাবারের দিক দিয়ে আমাদের এখনকার খাবারের রীতির সঙ্গে বেশ মিল ছিল তখন থেকেই। গম, যব, বার্লি সব তখন থেকেই চাষ হতো। আবার দুধ, ডিম, মাংস, ফল, সব্জি খাওয়ার প্রচলনও ছিল তখন। এরপর ধীরে ধীরে সমাজব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এলেও কিছু জায়গায় এখন সেই প্রাচীন কিছু সভ্যতার খুঁটি আঁকড়ে রয়েছি আমরা সকলেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.