শ্রীনগর : বুধবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করা হল জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের (Hizb-ul-Mujahideen) বড় ঘাঁটি। সির বা পাশতুনা এলাকার পার্বত্য অঞ্চলে (forest area of Seer/Pastoona) গোপনে তৈরি করা হয়েছিল এই ঘাঁটি (Terrorist hideout)। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও ৪২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ১৮০ ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফ জওয়ানরা যৌথভাবে তল্লাশি (joint search and operation) চালিয়ে ঘাঁটি উদ্ধার করে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘাঁটি উদ্ধার করার পরেই তাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়। ওই ঘাঁটি থেকে খাবার, রান্না করার সরঞ্জাম বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাঁটিটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হত বলে মনে করা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে উদ্ধার করা হয় জঙ্গিদের গোপন আস্তানা। এরই সঙ্গে উদ্ধার হয় একাধিক অস্ত্র। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার যৌথ তল্লাশিতে এই গোপন ঘাঁটির সন্ধান মেলে। এই তথ্য দেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। অনন্তনাগের গভীর জঙ্গলে এই গোপন ঘাঁটির সন্ধান পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আস্তানা থেকে তিনটি এ কে ৫৬ রাইফেল, দুটি চাইনিজ পিস্তল , দুটি চাইনিজ গ্রেনেড, একটি টেলিস্কোপ, ছটি একে ম্যাগাজিন, দুটি পিস্তল ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়। গোটা এলাকায় আরও তল্লাশি চলবে বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
তার আগে, লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা রক্ষীরা। জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দা মারফত তাদের কাছে আগেই খবর ছিল। সেই মতো তারা পাপাচান-বান্দিপোরা চেকপোস্টের কাছে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। তখনই এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। ওই দুই জঙ্গির নাম আবিদ ওয়াজা ও বশির আহমেদ গোজের। দুজনেই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরার বাসিন্দা। তারা জঙ্গিদের আশ্রয় দিত বলে পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী খবর। এছাড়া জঙ্গিদের প্রয়োজনীয় সাহায্যও জোগান দিত তারা। বান্দিপোরায় নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর গ্রেনেড হামলার জন্যও তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। ধৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড সহ অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.