প্রথম পর্বের পর মার্চের শুরু থেকেই দেশজুড়ো শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় পর্বের করোনা টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই চলতি সপ্তাহে টিকা নিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিও। তবুও এখনও মানুষের মন থেকে কাটেনি টিকা ভয়। এদিকে জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে টিকাকরণের ছাড়পত্র মিললেও কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে বিতর্ক। এমনকী প্রশ্ন ওঠে কার্যকারিতা নিয়েও। এমতাবস্থায় এবার সামনে এল কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার আগেই কোভ্যাক্সিনকে টিকাকরণের ছাড়পত্র দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভূমিকা। যদিও শুরু থেকেই দুই করোনা টিকাকেই নিরাপদ বলে চিহ্নিত করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রকে। কিন্তু তারপরেও টিকা ভয়ের কারণেই প্রথম পর্বে পূরণ হয়নি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা। এমতাবস্থায় এবার দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণের শুরুতেই কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এসে যাওয়ায় সাময়িক স্বস্তিতে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট বলছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন আদপে মানব দেহে ৮১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরী। যদিও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্টে সাফল্যের হার চিল ৬৫ শতাংশের আশেপাশে। অন্যদিকে তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে গোটা দেশদুড়ে অংশ নেন প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছা সেবক। ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগেই চলে ট্রায়াল। এমনকী ইণ্ডিয়াল কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ ও ন্যাশান্যাল ইন্সস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যৌথ উদ্যেগেই তৈরি হয়েছে এই স্বদেশী করোনা টিকা। এমতাবস্থায় ট্রায়াল রিপোর্টে বড়সড় সাফল্যের কথা সামনে আসায় জনমানসে টিকা ভয় কাটে কিনা এখন সেটাই দেখার।