শুভেন্দুকে ফোন অমিত শাহের!
ইতিমধ্যে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ একাধিক বঙ্গ নেতৃত্ব। প্রথমে জানা যায় যে সেই তালিকাতে নেই শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতায় দলের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের বৈঠকেও শুভেন্দু ছিলেন না। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এবং পূর্বের তমলুকে দলীয় কর্মসূচি ছিল তাঁর। শুভেন্দুর দিল্লির না আসার খবর ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে অমিত শাহের কাছে। কেন দিল্লি আসছেন না শুভেন্দু? তা রাজ্য নেতাদের কাছে জানতে চান অমিত শাহ। আর তা বিস্তারিত জানার পরেই সরাসরি অমিত শাহের ফোন যায় শুভেন্দুর ফোনে। এক শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, ফোন করে অমিত শুভেন্দুকে অতি অবশ্যই দিল্লি যেতে বলেন। জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তাঁর উপস্থিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এর পরেই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি যাওয়ার কথা জানান শুভেন্দু। রাত ৮ টায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাকিদের সঙ্গেই বিমানে ওঠেন তিনি।
মুকুল নয়! শুভেন্দুর উপরেই বেশি ভরসা
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় বহুদিন হয়ে গিয়েছে। গত বছরের শেষেরদিকে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। দলবদলের পরেই বিজেপিতে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু। জুট কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয় শুভেন্দুকে। তবে এদিন যেভাবে শুভেন্দুকে ফোন করে দিল্লিতে জরুরি তলব করলেন তাতে রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, তাহলে কি প্রার্থী নির্বাচনে শুভেন্দুর উপরেই ভরসা করছেন অমিত শাহ? তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই কি প্রার্থী নির্বাচন চাইছেন শাহ? রাজনৈতিকমহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
অমিত শাহ নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন এবার
আপাতত বিজেপি প্রথম দু-দফার ৬০টি আসনে প্রার্থী বাছাই করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ৬০ আসনের জন্য ৩০০ জনের নামের তালিকা এ্খন বিজেপির হাতে। সেই তালিকা ধরেই কেন্দ্রওয়াড়ি আলোচনা হবে। তারপর চূড়ান্ত হবে নাম। সবার সঙ্গে কথা বলে অমিত শাহ নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন, কাকে প্রার্থী করা সঠিক হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যও নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বহু নামের তালিকা বিজেপির হাতে
বিজেপিতে এখন অনেক নাম। কারণ তৃণমূল ভেঙে অনেকেই এসেছেন বিজেপিতে। আবার আদি বিজেপি নেতারা আছেন। তারপর মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের অনুগামীরা রয়েছেন। রয়েছেন অমিত শাহের দূতের ঠিক করা নামের তালিকাও। তার সঙ্গে আছেন আরএসএস মনোনীত নামও। এইসব নাম নিয়েই আলোচনা হবে, যিনি যোগ্যতর হবেন, তিনি এবার প্রার্থী হবেন। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা শুভেন্দুর থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।