মুম্বই : কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra Chief Minister) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বুধবার ঐতিহাসিক মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নামে নামকরণ করা হয়েছে যখন, তখন এই স্টেডিয়ামে কোনও দিনও ভারত হারবে না। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নাম মুছে, বীর সাভারকরকে ভারতরত্ন না দিয়ে অসম্মান করছে বিজেপি। সেই বিজেপিই আবার ভারতীয়দের হিন্দুত্বের পাঠ শেখাচ্ছে।
মোতেরা স্টেডিয়ামের (Motera stadium) নাম পরিবর্তন নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে অসন্তোষের ঝড় উঠেছিল। এবার মুখ খুলল বিজেপির শরিকও। ভারত-ইংল্যান্ড পিঙ্ক বল টেস্ট শুরুর আগে বুধবার বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম নতুন নামে নামাঙ্কিত করা হয়। নবনির্মিত মোতেরা নতুন নামে এদিন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
নবরূপে মোতেরার আত্মপ্রকাশের মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য্য দেবরথ, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরণ রিজিজু, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ভারত বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট তথা পিঙ্ক বল টেস্ট ম্যাচের মধ্যে দিয়েই মোতেরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঢাকে কাঠি পড়ে। ১ লক্ষ ১০ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট নব কলেবরে মোতেরাকে দেখে ইতিমধ্যেই মোহিত হয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব।
দর্শকাসনের বিচারে ইতিপূর্বে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম মেলবোর্নকে (৯০ হাজার) পিছনে ফেলেছে মোতেরা। তবে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টে অর্ধেক সংখ্যক অর্থাৎ ৫৫ হাজার মত দর্শক সমাগম হবে বলে জানানো হয়েছিল মোতেরায়। যা দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা দ্বিতীয় দিন-রাতের টেস্ট বা পিঙ্ক বল টেস্ট ম্যাচ। উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে মোতেরায় থাকছে ১১টি পিচ। ডিম্বাকৃতি স্টেডিয়ামে তৈরি মোতেরায় যে পিচেই খেলা হোক না কেন বাউন্ডারির কোনও হেরফের ঘটবে না।
এছাড়া ইন্ডোরেও থাকছে ৬টি পিচ এবং স্টেডিয়ামের চার-চারটি ড্রেসিংরুম। নবনির্মিত মোতেরাকে নিয়ে বলতে গিয়ে বিরাট কোহলি পিঙ্ক বল টেস্টের আগে জানিয়েছেন, ‘আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমাদের দেশে। দুর্দান্ত পরিকাঠামো আর আমরা ভীষণভাবে উত্তেজিত মাঠে নামার জন্য।’ কোহলি আরও বলেন, ‘দর্শক সমাগম পার্থক্য গড়ে দেবে। আমরা যখন বিদেশের মাঠে খেলি তখন আমরা চাপ অনুভব করি। আশা করছি আমরা মোতেরায় প্রবল জনসমর্থন পাব।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.