নয়াদিল্লি : ইঞ্জেকশনে যদি ভয় পান, তবে করোনা টিকা নিতেও ভয় পাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এবার সেই ভয় কাটতে চলেছে। পরের সপ্তাহেই ট্রায়াল শুরু হচ্ছে নাক দিয়ে নেওয়ার পদ্ধতির করোনা টিকার। ভারত বায়োটেকের হাত ধরে এই ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডে জানাচ্ছে ট্রায়াল সফল হলে, করোনা টিকা এবার নেওয়া যাবে নাক দিয়ে।
পাটনা, চেন্নাই, নাগপুর ও হায়দরাবাদে ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে ন্যাসাল করোনা ভ্যাকসিনের। প্রাথমিকভাবে ১৭৫ জনের ওপর ট্রায়াল চালানো হবে। সেন্ট্রাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন মেনে ট্রায়াল চলবে। ৮ই জানুয়ারি এই ধরণের ট্রায়ালের অনুমতি দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই ধরণের ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যাবহার করার নির্দেশ দিয়েছে ডিসিজিআই। জানানো হয়েছে এই ধরণের ভ্যাকসিন শুধু প্রাপকের কষ্টই কমায় না, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচও কমাচ্ছে। কারণ এতে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, সূঁচের খরচ লাগবে না। গোটা ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার মোট খরচে বেশ প্রভাব ফেলবে এই ব্যায় হ্রাস বলেই মনে করছেন ভারত বায়োটেকের কর্তারা।
এদিকে, ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্য়াক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে এর ফলাফলও। জানা গিয়েছে ভারত বায়োটেকের এই করোনা ভ্যাকসিন ৮১ শতাংশ কার্যকরী। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২৫ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে যৌথভাবে এই ট্রায়াল চালিয়েছিল ভারত বায়োটেক।
সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণ এলা বলেছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে গন্য় হবে। বিজ্ঞান ও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। এই ভ্যাকসিনের তিনটি পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় ২৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবকে নিয়ে করা হয়। কোভ্যাক্সিন শুধু উচ্চ পর্যায়ের ক্লিনিকাল কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে তা নয়, দ্রুত সংক্রমিত হওয়া ভাইরাসের ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.