শহিদ মিনারে বাউলদের সভায় কৈলাশ
মঙ্গলবার শহিদ মিনারে বাউলদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেই সভায় ডাক দিয়েছিল সারা ভারত কীর্তন, বাউল, ভক্তিগীতি কল্যাণ ট্রাস্ট। সেই সভায় ঢোল কাধে নিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে গান গাইতেও দেখা গিয়েছিল।
কৈলাশের 'প্রতিশ্রুতি'
অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তিনি বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার এরকম হাজার শিল্পীদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন। এবছরের ১৪ মার্চ থেকে ৭০ বছরের বেশি বয়সের শিল্পীরা এই পেনশন পাবেন। সঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে এর বয়স কমিয়ে ৬০ করা হবে। আর তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিজেপির প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে। যদি নিজের এই কথায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
হরে কৃষ্ণ হরে হরে, কমল ফুল বিজেপির ঘরে ঘরে
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি বিজেপির ঘরে ঘরে স্লোগান তুলেছিলেন। সেই স্লোগানকে পরে মান্যতা দেয় রাজ্য বিজেপি। এবার সেই স্লোগান দিতে দেখা যায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। তিনি বলেন গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে কীর্তন করে বলুন হরে কৃষ্ণ হরে হরে, কমল ফুল বিজেপির ঘরে ঘরে। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যদি বাংলার গ্রামে গ্রামে কীর্তন , ভজন করতে হয়, তাহলে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এছাড়াও তিনি আব্বাস সিদ্দিকিকেও নিশানা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন ভাইজানের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। না হলে সনাতন ধর্ম এদেশে বন্ধ হয়ে যাবে।
বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কমিশনে ফিরহাদ
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে এভাবে কখনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।