মিছিল নয় অন্য কিছুতে চলছে জনসংযোগ
২০১৬ সাল পর্যন্ত বিধানসভা ভোটে বাংলায় মিছিলের দাপট দেখা গিয়েছে। তবে করোনাকালে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে সেই মিছিলের জায়গা জনসংযোগের জায়গা নিয়েছে ফোন কল। ফোনে পার্টিগুলি জনতার কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। ক্রমাগত দেখা যাচ্ছে প্রচারে বেশি জোর বাড়াচ্ছে প্রযুক্তি।
প্রশান্তদের জবাব শুভেন্দুদের, ফোকাসে 'আধুনিকতা'
বাংলার ভোট যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত 'দিদিকে বলো' থেকে 'দিদির দূত' সমস্তই প্রযুক্তি নির্ভর । দিদিকে বলো-তে যেমন রয়েছে হেল্প লাইন নম্বর, তমেনই দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছেছে। যার হাত ধরে রাজ্যের প্রায় ৫ লাখ মানুষের কাছে ইতিমদ্যেই মমতার সভার লাইভ স্ট্রিমিং থেকে সরকারের কাজের খতিয়ান পৌঁছে যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই বিজেপি। পরিবর্তন যাত্রায় বিজেপির জন্য রাজ্যে দেখা গিয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক বাস। এছাড়াএ ডিজিটাল বা এলইডি রথ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষের পরামর্শ সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হচ্ছে। আর এর হাত ধরেই স্পষ্ট যে ২০২১ ভোটে যুযুধান দুই পক্ষের বড় অস্ত্র হয়ে উঠছে প্রযুক্তি।
তৃণমূল যেখানে পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে প্রশান্তের লড়াই
প্রসঙ্গত ২০১৪, ২০১৯ এর ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে গিয়েছিল প্রযুক্তির দিক থেকে। সেই সময় ভারত জুড়ে প্রচারকে তুঙ্গে রাখতে বিজেপি হাতিয়ার করে প্রযুক্তিকে। বিজেপির আইটি সেল তবে থেকেই বেশ তৎপর। তবে এই খামতি পূরণে এক চুল জমি ছাড়েননি প্রশান্ত কিশোর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ' সেভ ইওরসেল্ফ ফর্ম বিজেপি' থেকে 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' স্লোগানে পারদ চড়িয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূলও ডিজিটাল মাধ্যমে কম নয়। এমনকি সপ্তাহান্তে বহু ঘাসফুল শিবিরের নেতাকে আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশান্ত কিশোর অনন্য ভূমিকা নিয়েছেন।
বিজেপির নজরে ব্লগিং সাইট!
শোনা যাচ্ছে নিজের প্রচার করতে বিজেপি শহরের কয়েকজন নামী ব্লগারের কাছে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ থেকে ২০ টি পোস্ট করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর এক্ষেত্রেও প্রচার অস্ত্র সেই ডিজিটাল মিডিয়া।