পেনিনসুলা: কবরস্থান মানেই সেই জায়গা আমাদের কাছে ভয়ের। আঁধারে এরই গা ছমছম করে সেখানে। কিন্তু ধরুন আপনি সেখানে যেতেই দেখলেন জ্বলে উঠেছে সেই সমাধিক্ষেত্রটি তাহলে কি অবাক হবেন নাকি ভয় পাবেন? না, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু অবাক হতে হবে কারণ শুনশান ওই জায়গায় এতো আলো জ্বালাতে কে আসবে। একেবারে আলোর রোশনাই জ্বলজ্বল করে গোটা এলাকা। সমাধির ফলকগুলোতে জ্বলে আলো। সেইসঙ্গে থাকে ক্রিসমাসের মেজাজ। এটাই সেখানকার এক বিশেষ রীতি।
এই রীতি দেখা যায় আইসল্যান্ডে। সেখানে ডিসেম্বরে সেজে ওঠে সমাধিস্থল। একটি বিশেষ সমাধিক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। মানুষেরাই পালন করে এই সুন্দর রীতি। রেজকাজিকের লাগাফেলস্কির্জা গির্জার সমাধিস্থলে আপনি এই সময়ে গেলে আপনার মন ভরে যাবে। মনে হবে না আপনি কোনো কবরস্থান দেখছেন চোখের সামনে। সেখানে শুধুই আলোর মেলা।
ক্রিসমাসের আগে-পরের সময়ে এমনটা পালিত হয়ে থাকে সেখানে। উত্তর মেরুর কাছাকাছি থাকায় এখানে শীতকালের প্রভাব খুব বেশি। সেই সময়ে রাতের পরিসর বেড়ে যাওয়ায় সারারাত ধরে এই উৎসব চলতে থাকে। এখন থেকে ২০০ বছরের মতো সময় আগে এই রীতি চালু হয়েছিল। সেখানকার মানুষেরাই সাজায় সেই সমাধিক্ষেত্রকে। মোমের আলোয় জ্বলে উঠেছিল। সমাধি ফলক আর ক্রস চিহ্নকে বিশেষ করে ফুটিয়ে তোলা হতো। সেখান থেকে রীতিটি আইসল্যান্ডের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ও সৃষ্টি করে বিশ্ব জুড়ে। এক একটি সমাধির সামনে তাদের আত্মীয়রা আসেন ও আলো দিয়ে সাজান সেটিকে। এভাবেই সেই আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তার শান্তি কামনা করেন।
নিজেদের মধ্যেকার আনন্দ সেই মৃত ব্যক্তির সঙ্গেও ভাগ করে নেন তারা। তাই এই রীতি দুঃখের নয়। বরং মৃতেরও যে প্রাণ আছে তা প্রমাণ দেয় এই রীতি।তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অটো মোমবাতি না জ্বালিয়ে এখনকার শৌখিন আলোগুলি লাগানো হয় সেখানে। এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে অনেক পর্যটক সেখানে আসেন। এক নৈসর্গিক শোভা পায় সেই সমাধিস্থল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.