শোভনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না!
বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূল নিস্ক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন। তারপর বিজেপিতে যোগ দিয়েও অজ্ঞাতবাসে কাটান প্রায় ১৭ মাস। একুশের বিধানসভার আগে তিনি সক্রিয় হয়েছেন বিজেপিতে। তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন ঘরের মাঠ বেহালা পূর্বেই। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অবতীর্ণ হতে পারেন শোভন-জায়া রত্না।
পরিকল্পনা মতোই রত্না স্বামীর কেন্দ্রের প্রার্থী!
বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভনের কেন্দ্র এতদিন দেখভাল করে এসেছেন রত্নাই। বিশেষ সূত্রের খবর, রত্নাকে ওই কেন্দ্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। রত্নাও কোমর বেঁধে এই কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরিকল্পনা মতোই রত্না স্বামীর কেন্দ্রের প্রার্থী হতে পারেন তৃণমূলের।
শোভন কি পুরনো কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হবেন
এই পরিস্থিতিতে দেখার শোভনকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করে কি না! রত্নাকে বেহালা পূর্বের দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা। এরপর শোভনের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার গুঞ্জন শুরু হলে শর্ত দেওয়া হয়েছিল রত্নাকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। সেইসময় কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরানে হয় রত্নাকে। কিন্তু শোভনেরও তৃণমূলে ফেরা হয়নি।
রত্না শোভনের ছেড়ে যাওয়া দায়িত্ব সামলেছেন
রত্না শুধু বিধায়ক হিসেবে শোভনের ছেড়ে যাওয়া দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তা নয়, তিনি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টিও সাফল্যের সঙ্গে সামলান রত্না। শোভন আবার রত্নাকে সেই দায়িত্ব থেকে সরানোর বায়না করেন বলে জানা যায়। কিন্তু শোভনের এই দাবি মানেনি তৃণমূল। ফের রত্নাকেও কো অর্ডিনেটর পদও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শোভনের কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে
শোভনের অনুপস্থিতিতে বেহালা পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেক নাম রয়েছে। প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য তারক সিং থেকে শুরু করে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক রত্না শূর, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীরা আছেন লড়াইয়ে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রে খবর শোভনের কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী রত্নাই।
তৃণমূল সব দিকে ভাবনা-চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবে
রত্না বলেন, আমি প্রার্থী হব কি না তা ঠিক করবে দল। এখনও আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। যেখানে লড়াই করতে পাঠাবে সেখানেই লড়ব। এখন দেখার তৃণমূল চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূল সব দিকে ভাবনা-চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।