তমলুক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েও ধাক্কা খেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার একদা দাপুটে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান। তাঁর জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ফের গ্রেফতারির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এই মামলা আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

গত ২০১৯ সালে পাঁশকুড়ায় দুর্গাপুজার সময় খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কুরবান শা। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন তৃণমূল ত্যাগী তথা বর্তমান বিজেপির আনিসুর রহমান । তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই থেকে জেল বন্দি থাকলেও মাঝে মধ্যেই ফেসবুক পেজে সচল থাকের অভিযোগ উঠে আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত কয়েক মাসে মাঝে মধ্যেই আনিসুর রহমান খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন।শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দানের পর থেকেই সেই অভিযোগ বাড়ছে।

এর মধ্যেই আনিসুরের শনিবার ফেসবুক পেজে হওয়া এক পোষ্টকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। এদিন আচমকা অনিসুর রহমানের ফেসবুক পেজ সচল হয়ে যায়। সেখানে পরপর দুটি পোস্ট করা হয়। সেখানে প্রথম পোস্টে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলে ফেরার কথা বলা হয়।কিছুক্ষণ পরে আবারও পোস্টে তৃনমূলের জনপ্রিয় ” খেলা হবে ” স্লোগানের সঙ্গে আনিসুরের বিভিন্ন ছবি মিশিয়ে দেওয়া হয়।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহল ও তমলুক আদালত সুত্রে জানা গেছে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই তৃনমূল এই প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর বিরোধীদের শক্তিশালী করে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে ।আনিসুর রহমানকে জেলের বাইরে আনার প্রক্রিয়া সেই প্রচেষ্টার অঙ্গ বলে গুঞ্জন। তাই ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা খুনের মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনামা জারি করে রাজ্য সরকার।

সরকারি আইনজীবী সেই মতো তমলুক আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। মঙ্গলবার সেই ছাড়পত্র দেয় তমলুক আদালত। জামিন হয় আনিসুর রহমানের। এর মধ্যেই এদিন সকালে রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশনামাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কুরবানের পরিবার। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়।

সুত্রের থেকে জানা যাচ্ছে তমলুক আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে আনিসুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হলে ফের তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতির নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে ফের বিজেপি নেতা আনিসুর রহিমানকে তমলুক থানার পুলিশ কোলাঘাট থেকে গ্রেফতার করে।

আনিসুরের এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, আইন আদালত নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, আইন আইনের পথে চলবে, তবে একজন অপরাধীর পাশে রাজ্য সরকার যেভাবে দাঁড়িয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আনিসুর রহমান তৃণমূল থাকাকালীন শুভেন্দুর সাথে মতপার্থক্যের কারনে নানা দূরত্ব তৈরি হয়। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকাকালীন মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে আনিসুর। জেলে থাকাকালীন রাজনৈতিক জল অনেকদূর গড়ায়।

শুভেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর মুখ্যমন্ত্রীর মুখে আনিসুরের জয়গান শোনা যায়। তবে আনিসুর বিজেপিতে যোগদান করলেও এখন তিনি বকলমে তৃণমূলে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার তার উপর থেকে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।