ভারতের প্রশংসায় হু
গ্লোবাল বায়ো-ইন্ডিয়া ২০২১ নামের একটি অনুষ্ঠানে এসে সৌম্য জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এখন খুব জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছে, কারণ আমেরিকা ও ইউরোপে আচমকাই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এও জানান যে বিশেষত ভাইরাসটির বিভিন্ন রূপগুলিতে এখন অনেকগুলি অনিশ্চয়তা রয়েছে। সৌম্য বলেন, ‘বিশ্বের দরবাবে ভারত ভ্যাকসিন উৎপাদনে নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে এবং ভ্যাকসিন বিকাশের ক্ষেত্রে ভারত তার উদ্ভাবনী ক্ষমতাকেও প্রদর্শন করেছে। ভ্যাকসিনগুলির প্রভাব অধ্যয়ন করার জন্য বিশাল পরিমাণ সুযোগ রয়েছে, যা খুব সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে চিন্তাভাবনা করা দরকার।'
৩০টি ভ্যাকসিনের বিকাশ ভারতে
ভারতে এই মুহূর্তে ৩০টি ভ্যাকসিনের বিকাশ হচ্ছে বিভিন্ন ধাপে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন, যা উৎপাদন হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াতে, ইতিমধ্যেই তা ব্যবহৃত হচ্ছে দেশে। জাইদাস ক্যাডিলা ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরের ওপর ট্রায়ালের অবস্থায় রয়েছে ডাঃ রেড্ডির ল্যাবে। জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার কাছে এটি প্রাথমিক ধাপে রয়েছে।
কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ
ভারত ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং এছাড়াও আরও অনেক দেশ থেকে ভ্যাকসিনের অর্ডার এসেছে। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পাল বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাগুলির সমূহ প্রশংসা করে জানান যে মহামারির সময় যে দ্রুতগতিতে সমাধান করা হয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ। ভ্যাকসিন বিকাশের কাহিনীগুলি সত্যিই দারুণ, যা কিভাবে সময়কে সঙ্কুচিত করে বৈজ্ঞানিক কাজ তরান্বিত করা যায় তারই উদাহরণ।
দ্বিতীয ধাপের টিকাকরণ
ইতিমধ্যেই দেশে দ্বিতীয় ধাপের করোনা ভ্যাকসিন টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথমদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির এইমস থেকে টিকাকরণ করান এবং দ্বিতীয় দিন টিকাকরণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।